ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

৫০ কোটি রুপির অমিল সুশান্তের অ্যাকাউন্টে

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২০
৫০ কোটি রুপির অমিল সুশান্তের অ্যাকাউন্টে সুশান্ত-রিয়া

সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবার বিহার পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করার পর থেকে অস্বস্তিতে রয়েছে মুম্বাই পুলিশ। এছাড়া অভিনেতার মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় মুম্বাই পুলিশকে।

এবার বিহার পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে অভিযোগ এনে বলেন, ‘সুশান্তের মৃত্যুর তদন্তে অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর দিকে একেবারেই নজর দেয়নি মুম্বাই পুলিশ। তিনি বলেন, সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে গত চার বছরে রহস্যজনকভাবে ৫০ কোটি রুপি তোলা হয়েছে। এর মধ্যে গত এক বছরে তোলা হয়েছে ১৫ কোটি।

‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা কি খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়? আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না। আমরা তো প্রশ্ন করবোই যে, কাকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে?’  সংবাদ সংস্থা আইএনএস’র কাছে এ জিজ্ঞাসা ডিজিপি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডের।

এর আগে বিহার পুলিশের ডিজিপি অভিযোগ আনেন, এই মামলা তদন্তের প্রধান হিসেবে মুম্বাইয়ে পৌঁছানো পাটনার (সেন্ট্রাল) এসপি বিনয় তিওয়ারিকে জোর করে কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সুশান্তের ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট এসপি’র সঙ্গে ভাগ করা তো দূর কথা, তাকে ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছে।  

যদিও সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুম্বাই পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং বলেন, ‘সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের কোনো টাকা সরসারি রিয়া চক্রবর্তী বা তার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়নি। ’  

পাটনা পুলিশের কাছে দায়ের এফআইআরে সুশান্তের কোটাক মহিন্দ্রা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা গায়েব হওয়ার অভিযোগ এনেছিল প্রয়াত অভিনেতার পরিবার। এই অভিযোগও অস্বীকার করেন পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, তার অ্যাকাউন্টে ১৮ কোটি রুপি ছিল। যার মধ্যে ৪.৫ কোটি রুপি এখনও রয়েছে। ’

গত ২৫ জুলাই সুশান্তের মৃত্যুর প্রায় ৪০ দিন পর প্রয়াত অভিনেতার পরিবার এই মামলার প্রথম এফআইআর দায়ের করে পাটনার রাজীব নগর থানায়। সেই এফআইআরের ভিত্তিতেই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রিয়া ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।  

সুশান্তের মৃত্যুর ছয়মাস আগে শুরু করা দুটি কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রয়েছেন রিয়া ও তার ভাই শৌভিক। সেই সব কোম্পানির আর্থিক লেনদেনের দিকটাও খতিয়ে দেখবে ইডি। এই সপ্তাহেই রিয়া ও তার পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে ইডি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২০
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।