নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন অভিনেতা মিশা সওদাগর। তবে বড় পর্দায় তিনি প্রতিষ্ঠা পান খল-অভিনেতা হিসেবে।
জনপ্রিয় এই অভিনেতার জন্মদিন (০৪ জানুয়ারি)। ১৯৬৬ সালের এই দিনে পুরানো ঢাকার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে মিশা সওদাগরের জন্ম। তার বাবা ছিলেন ওসমান গনি এবং মা বিলকিস রাশিদা।
সোমবার (০৩ জানুয়ারি) দিনগত রাত থেকেই জন্মদিনের শুভেচ্ছায় ভাসছেন মিশা। অনুরাগীদের পাশাপাশি তার চলচ্চিত্রের কাছের মানুষরা সামাজিক মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বড় পর্দায় দর্শক মাতাচ্ছেন মিশা সওদাগর। এখন পর্যন্ত প্রায় সাতশ’রও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।
মিশার প্রকৃত নাম শাহিদ হাসান। তবে সিনেমায় আসার পর স্ত্রী মিতার নামের ‘মি’ এবং নিজের নামের ‘শা’ একসঙ্গে করে নিজেই নাম রাখেন মিশা। তার দাদার নাম থেকে সওদাগর টাইটেল নিয়ে নিজের পুরো নামকরণ করেন মিশা সওদাগর।
১৯৮৬ সালে এফডিসি আয়োজিত নতুন মুখ কার্যক্রমে নির্বাচিত হয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু করেন মিশা সওদাগর। ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘চেতনা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালে নায়ক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। ‘অমরসঙ্গী’ সিনেমাতেও তিনি নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন, কিন্তু দু’টির একটিতেও ব্যবসায়িক সাফল্য পাননি।
পরবর্তীতে বেশ কয়েকজন পরিচালক তাকে ভিলেন হিসেবে অভিনয়ের পরামর্শ দেন। প্রথম তমিজ উদ্দিন রিজভীর ‘আশা ভালোবাসা’ সিনেমাতে ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেন মিশা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ভিলেন হিসেবে নিজেকে বড় পর্দায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
হুমায়ুন ফরীদিকে দেখে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে আগ্রহী হন মিশা। এ কারণে ফরীদিকে তিনি বলেন ‘আত্মিক ওস্তাদ’।
বর্তমানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির টানা দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
করোনার কারণে সিনেমার কাজ কম থাকায় বর্তমানে শুটিং ফ্লোরে খুবই দেখা যায় মিশাকে। তবে সুযোগ পেলে ধারাবাহিকে কাজ করা এবং মডেলিংয়ে সময় দিচ্ছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২১
জেআইএম