উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর আর নেই। তার মৃত্যুতে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনেও শোক নেমে এসেছে।
সুরসম্রাজ্ঞীর চলে যাওয়া যেন কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন।
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর নিয়মে তিনি (লতা মঙ্গেশকর) চলে গেলেন। ভাবতাম, তিনি হয়তো কখনও যাবেন না। এমন একটা মনের ভেতর চিন্তা হতো। লতা মঙ্গেশকর নাই পৃথিবীতে এটা ভাবাই যায় না। আমি ভাগ্যবান যে লতাজির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল, কথা বলতে পেরেছিলাম। ’
স্মৃতিচারণ করে সাবিনা ইয়াসমিন আরো বলেন, ‘সেদিনের স্মৃতি খুব মনে পড়ছে। এত বড় মাপের শিল্পী, কিন্তু কাছে গিয়ে বোঝার উপায় নেই। তিনি যত বড় শিল্পী ছিলেন, মানুষ হিসেবে ছিলেন ততই বিনয়ী। ’
ভারতের ইন্দোরের ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন লতা মঙ্গেশকর। মাত্র ১৯ বছর বয়সে ‘মজবুর’ চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেওয়ার মাধ্যমে প্লেব্যাকে হাতেখড়ি হয় তার। ক্যারিয়ারে লতা মঙ্গেশকর ৩৬টি ভাষায় প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন। ১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি গানের শিল্পী হিসেবে গিনেস বুকে স্থান পান তিনি।
পদ্মভূষণ, দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড, ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা, পদ্মবিভূষণ, এনটিআর জাতীয় পুরস্কার এবং ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ভারতরত্ন পেয়েছেন তিনি। এছাড়া ফ্রান্সের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘অফিসার দে লা দি’ অনারসহ দেশি-বিদেশি অসংখ্য পুরস্কার-সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই কিংবদন্তি।
প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর রোববার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৮টার দিকে ভারতের মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২২
জেআইএম