প্রখ্যাত গীতিকার ও জ্যোতিষী কাওসার আহমেদ চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে তাকে চিরশায়িত করা হয়েছে।
এর আগে এদিন সকাল ৯টায় ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে কাওসার আহমেদ চৌধুরীর জানাজা সম্পন্ন হয়। এরপর তার শেষ ইচ্ছানুযায়ীই তাকে আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হয়।
এ সময় পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সংগীতাঙ্গণের হাতে গোনা কয়েকজন। তারা হলেন ফুয়াদ নাসের বাবু, সামিনা চৌধুরী, গায়ক শাহেদ, পঞ্চম, সুজন আরিফ।
তবে তার জানাজা ও দাফনে সঙ্গীতাঙ্গণের তেমন কাউকে না পেয়ে দু:খ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কাওসার আহমেদ চৌধুরীর মৃত্যু হয়।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি কিডনির সমস্যা ও রক্তের সংক্রমণসহ একাধিক শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। এর আগে তিনি দুইবার স্ট্রোকও করেছিলেন। গত সপ্তাহে প্রথমে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। পরে ধানমন্ডি ক্লিনিকে স্থানান্তর করা হয়।
কাওসার আহমেদ চৌধুরী মূলত একজন গীতিকবি। তবে জ্যোতিষী হিসেবেও তিনি পরিচিত। একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘আপনার রাশি’ শিরোনামে রাশিফল গণনার মধ্য দিয়ে তিনি পাঠকদের কাছে একটি পরিচিত নাম হয়ে উঠেন।
১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় গোয়েন্দা হিসেবে তথ্য সংগ্রহের কাজ করেছেন তিনি।
কাওসার আহমেদ চৌধুরীর লেখা জনপ্রিয় কয়েকটি গানের মধ্যে রয়েছে-‘যেখানেই সীমান্ত তোমার’, ‘আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘এই রুপালি গিটার’, ‘মৌসুমী’ ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
জেআইএম