কথার জাদু দিয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেশব্যাপী পরিচিতি পেয়েছেন হানিফ সংকেত। একাধারে উপস্থাপক, পরিচালক, অভিনেতা, প্রযোজক, লেখক; নানামাত্রিক গুণের মানুষ তিনি।
১৯৫৮ সালের আজকের এই দিনে বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন হানিফ সংকেত।
জন্মদিনে ভক্ত-অনুরাগীরা হানিফ সংকেতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ভক্তদের ভালোবাসায় মুগ্ধ এই কিংবদন্তি। এমন মূহুর্তে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি, দোয়া চেয়েছেন নন্দিত এই তারকা।
সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে হানিফ সংকেত লেখেন, 'যতদিন বাঁচি, বাঁচি যেন ভালোবাসা নিয়ে, বাঁচি যেন হৃদয়ের উত্তাপ বিলিয়ে। আপনাদের ব্যস্ততম জীবনে আমার এই জন্ম তারিখটি মনে রেখে যারা আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন-সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। আপনাদের এই অকৃত্রিম ভালোবাসাই আমার চলার পথের পাথেয়। '
ওই পোস্টে যোগ করে হানিফ সংকেত আরো লেখেন, 'দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন সবাই। '
প্রয়াত ফজলে লোহানীর ‘যদি কিছু মনে না করেন’ ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান দিয়ে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। এরপর তিনি দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ নিয়ে হাজির হন। তার পরিচালিত ও উপস্থাপিত অনুষ্ঠান ইত্যাদিতে তিনি সামাজিক অসঙ্গতি, দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম তুলে ধরেন।
কিছুটা রম্যভাবে তিনি সমসাময়িক নিন্দিত ঘটনার বর্ণনা ও তার বিরোধিতা করে সামাজিক করণীয় তুলে ধরেন তিনি। হানিফ সংকেত নিজের কাজের ব্যাপারে খুব সচেতন একজন মানুষ।
নাটক পরিচালনাতেও হানিফ সংকেত দেখিয়েছেন নির্মাণের মুন্সিয়ানা। তার পরিচালিত জনপ্রিয় নাটকের মধ্যে ‘আয় ফিরে তোর প্রাণের বারান্দায়’, ‘দুর্ঘটনা’, ‘তোষামোদে খোশ আমোদে’, ‘কিংকর্তব্য’, ‘কুসুম কুসুম ভালোবাসা’, ‘শেষে এসে অবশেষে’ উল্লেখযোগ্য।
চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন হানিফ সংকেত। বেশ কয়েকটি ব্যঙ্গ ও রম্য রচনা লিখেছেন তিনি। ‘চৌচাপটে’, ‘এপিঠ ওপিঠ’, ‘ধন্যবাদ’, ‘অকাণ্ড কাণ্ড’, ‘খবরে প্রকাশ’, ‘ফুলের মতো পবিত্র... ’, ‘প্রতি ও ইতি’, ‘আটখানার পাটখানা’ অন্যতম। এছাড়া তার লিখিত রম্য সাহিত্য পাঠক সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়।
সামাজিক কার্যক্রমের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ সালে একুশে পদক পুরস্কার পান হানিফ সংকেত। পরিবেশ শিক্ষা ও প্রচারের জন্য ২০১৪ সালের জাতীয় পরিবেশ পদক দেয়া হয় তাকে। এ ছাড়া তিনি দেশে-বিদেশে বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
এনএটি