ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

বিনোদন

সেই উপস্থাপিকাকে নিয়ে যা বললেন মীর সাব্বির

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
সেই উপস্থাপিকাকে নিয়ে যা বললেন মীর সাব্বির মীর সাব্বির

কয়েকদিন আগে শেষ হয়েছে বিবাহিত নারীদের নিয়ে আয়োজিত প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’। এই আয়োজনের শেষ দিনে একটি ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

এ বিতর্কে আসামির কাঠগড়ায় জনপ্রিয় অভিনেতা মীর সাব্বির। তার বিরুদ্ধে নারীর পোশাক নিয়ে বুলিংয়ের অভিযোগ এনেছেন অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক ইশরাত পায়েল।

তার অভিযোগ, ‘মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’র ফাইনাল রাউন্ডে উপস্থাপকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে তিনি বিচারকের আসন থেকে ডেকে নেন মীর সাব্বিরকে। বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় তার জনপ্রিয় কোনো নাটকের সংলাপ বলতে অনুরোধ করেন। সাব্বির তখন বলেন, ‘আমার তো নাটকের সংলাপ মনে থাকে না, উপস্থিত কিছু একটা বলছি।  

এরপর ইশরাত পায়েলের দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেন, এই মাতারি তুমি এরকম উদলা গায়ে দাঁড়ায় আছো কিয়ের লাইগা। শুদ্ধ ভাষায় বাক্যটি হলো, এই মেয়ে তুমি এমন উলঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়ে আছ কেন?’

মীর সাব্বিরের সেই সংলাপে হেসে ওঠে ভরা আসর। হাসি থামাতে পারেননি পায়েলও। তবে হাসিটা যে তার মেকি ছিল তা প্রকাশ করেন এক ভিডিও বার্তায়। সেখানে সাব্বিরের বিরুদ্ধে তিনি নারীর পোশাক নিয়ে কটাক্ষ করার অভিযোগ তোলেন। সেইসঙ্গে সাব্বির তার কাছে এ ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করবেন বলেও প্রত্যাশা করেন।

বিষয়টি নিয়ে শুরুতে নীরব থাকলেও এবার সরব হয়েছেন মীর সাব্বির। সামাজিকমাধ্যমে মত প্রকাশ করেছেন তিনি। বুধবার নিজের ফেসবুকে সাব্বির লেখেন, এক দেশের গালি আরেক দেশের বুলি। গত ১১ নভেম্বর মিসেস ইউনিভার্সের একটি প্রতিযোগিতায় আমি অতিথি হয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে একটি কথা নিয়ে প্রসঙ্গক্রমে উপস্থাপিকা দুই-একটি কথা বলেছেন। মঞ্চে আমার সঙ্গে কথা বলার পর দেখলাম, ওই উপস্থাপিকা তার বরাত দিয়ে দুই একটি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এ কারণে অনেক সাংবাদিক আমাকে ফোনও করেছেন।

ছোট্ট বিষয়কে বড় করার চেষ্টা করা হয়েছে- এমন দাবি করে সাব্বির লেখেন, মূল বিষয়টা ছিল, মানে বলতে পারেন তেমন কিছুই না। একটা ছোট্ট বিষয়কে হঠাৎ করে বড় করার চেষ্টা করা হয়েছে। উপস্থাপিকা মজার ছলে আমার বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কথা শুনতে চেয়েছেন। যেহেতু আমি বরিশালের ছেলে। আমি যে কথাটা বলেছিলাম, সেটা উপস্থাপিকা চমৎকারভাবে হেসে রিসিভ করেছেন এবং দর্শকরা তখন মজা পেয়েছেন। আমি যেটা বলেছি সেটা তাৎক্ষণিক এবং এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। কাউকে হেয় করার জন্য কিছু বলিনি। সেটা নিশ্চয়ই সকলেই অর্থাৎ যারা দেখেছেন তারা বুঝতে পেরেছেন।

ওই উপস্থাপিকাকে ছোট বোনের মতো- এমনটা উল্লেখ করে এই অভিনেতা লেখেন, উপস্থাপিকা যে আমার ছোট বোনের মত। তিনি যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি দুঃখ প্রকাশ করতেই পারি। সেটা নিয়ে এভাবে ফেসবুক কিংবা বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তৃতা দিয়ে ছড়ানোর কিছু নেই। আমাকে বললেই পারত, দাদাভাই কিংবা ভাইয়া আপনাকে আমি রেসপেক্ট করি। আপনার কথায় আমি কষ্ট পেয়েছি। আমি তখন হয়তো বলতাম, সরি তুমি কষ্ট পেও না। আমি তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য কথাটা বলিনি । কারণ তুমি আমার শব্দের মানে বুঝতে পারোনি। বিষয়টা শেষ হয়ে যেত।

সবশেষে সাব্বির আশা ব্যক্ত করেন, অন্যদের মতো আমার ইশরাত পায়েল তার সম্পর্কে ধারণা বদলাবেন। বরিশালের আঞ্চলিক ভাষার ক্ষেত্রে ইশরাতে যত অভিমান আছে সেসবও ভুলে যাবেন। এ সময় সাব্বির তার ভক্ত অনুরাগীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।