নড়াইল: নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় চিত্রা নদীতে ধরা পড়েছে প্রায় ছয় ফুট লম্বা একটি কুমির।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে কালিয়া উপজেলার খড়রিয়া গ্রামের জোবায়ের বিশ্বাসের ইটভাটা সংলগ্ন চিত্রা নদী থেকে গ্রামবাসী জাল দিয়ে কুমিরটি ধরেন।
এর আগে গত অক্টোবরের মাঝামাঝিতে চিত্রা নদীতে কুমির ভাসতে দেখা গেছে বলে এলাকায় গুঞ্জন ছড়িয়েছিল।
জানা গেছে, কুমিরটিকে জালে আটকে ডাঙায় তুলে পেড়লী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চত্বরে রাখা হয়। এসময় কুমির দেখতে সেখানে শতশত উৎসুক জনতা ভিড় করেন। পরে বনবিভাগে খবর দিলে সন্ধ্যায় এসে কুমিরটি নিয়ে যান কর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে খড়রিয়া গ্রামের জোবায়ের বিশ্বাসের ইটভাটা সংলগ্ন নদীর চরে শ্রমিকরা বড় কুমিরটি দেখতে পান। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের লোকজন মিলে জাল দিয়ে ঘেরাও করে কুমিরটি ধরেন।
এ ব্যাপারে পেড়লী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জারজিদ মোল্যা বাংলানিউজকে বলেন, সোমবার দুপুরে ইটভাটার শ্রমিকরা কুমির দেখতে পেয়ে অন্যদের খবর দেন। পরে খড়রিয়া গ্রামের আজিমুল মোল্যাসহ ১০/১২ জন মিলে চারদিকে বড় জাল দিয়ে ঘেরাও করে কুমিরটি ধরেন। পরে সেটিকে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে সতর্ক পাহারায় রাখা হয়। সন্ধ্যার দিকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে কুমিরটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
কালিয়া উপজেলা সামাজিক বনবিভাগের ফরেস্টার আমজাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কুমিরটিকে বন্যপ্রাণী সম্প্রসারণ এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার রেঞ্জ অফিসার মাহিনুর রহমান এসে নিয়ে গেছেন। এটি মিঠাপানির বিরল প্রজাতির ঘড়িয়াল বলে মনে করছেন তারা। ধারণা করা হচ্ছে, নদীতে পানি কমতে থাকায় এবং শীতকাল হওয়ায় রোদ পোহাতে সেটি ডাঙার দিকে চলে এসেছিল।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কুমিরটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। পরে কালিয়া উপজেলা সামাজিক বনবিভাগের মাধ্যমে খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তাদের কাছে সেটি হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২২
এসআই