ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

ভালুক শাবকসহ পাচারকারী চক্রের সদস্য আটক 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
ভালুক শাবকসহ পাচারকারী চক্রের সদস্য আটক 

কক্সবাজার: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা থেকে বিপন্ন প্রজাতির দুটি ভালুক শাবকসহ পাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সদস্যরা। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

গ্রেফাতার দীপক দাস (৩২) চকরিয়া পৌরসভার দিগর পানখালী এলাকার মৃত সোনারাম দাসের ছেলে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় চকরিয়া পৌরসভার দিগর পানখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।  

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুটি ভালুক শাবক উদ্ধার হওয়া করা হয়েছে। শাবক দুটির বয়স আনুমানিক দুই মাস। প্রতিটি শাবকের ওজন এক কেজির বেশি।

এসপি মাহফুজুল বলেন, চকরিয়া পৌরসভার দিগর পানখালী এলাকার বাসিন্দা দীপক আমদানি-রপ্তানি নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী পাচারকাজের সঙ্গে জড়িত পুলিশের কাছে এমন গোপন তথ্য ছিল। পরে পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তার ওপর নজরদারি শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ তথ্য পায় দীপক সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে বান্দরবান সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে দুটি ভালুক শাবক এনে নিজ হেফাজতে রেখেছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে দীপকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি ভালুক শাবক উদ্ধার করা হয়। এ সময় পালানোর চেষ্টা করলে দীপককে ধাওয়া করে পুলিশ গ্রেফতার করে।

তিনি বলেন, দীপক আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচারকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বন্যপ্রাণী পাচরকাজে জড়িত। মূলত প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার থেকে বান্দরবান সীমান্তের চোরাই পথে আমদানি-রপ্তানি নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী পাচার করে এনে নিজ হেফাজতে রাখতেন। এরপর অধিক মুনাফায় পাচার চক্রের অন্য সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করতেন।

গ্রেফতার দীপকের দেওয়া তথ্য মতে, সক্রিয় পাচার চক্রের সদস্যরা বাণিজ্য নিষিদ্ধ বন্যপ্রাণী সাতক্ষীরা ও যশোর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করে থাকে। উদ্ধার করা ভালুক শাবক দুটি গত ১৪ দিন আগে তিনি মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে পাচার করে এনে নিজ বাড়িতে রাখেন।

দীপকের নামে সংশ্লিষ্ট আইনে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এসপি মাহফুজুল ইসলাম।

প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থাগুলোর জোট আইইউসিএন বনায়ন ধ্বংস ও বন্যপশু শিকারের কারণে ভালুকদের সংকটাপন্ন প্রজাতির প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করে। বাংলাদেশে কালো ভালুক মহাবিপন্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত এবং বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর তফসীল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।