ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বনবিভাগে মাছরাঙার ছানা হস্তান্তর করলেন অটোচালক

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২৩
বনবিভাগে মাছরাঙার ছানা হস্তান্তর করলেন অটোচালক বনবিভাগে পাখি হস্তান্তর করছেন রনি। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: ৪০০ টাকায় চারটি পাতি মাছরাঙা (Common Kingfisher) পাখির ছানা কিনলেন এক পাখিপ্রেমী। তার নাম রনি (২৫)।

তিনি পেশায় একজন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক। পরে ওই ছানাগুলোকে স্থানীয় বন্যপ্রাণী বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (৭ মে) মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার নন্দরানী চা বাগান সড়কে এক পাখি বিক্রেতার কাছ থেকে ওই পাখির ছানাগুলো কিনেন রনি। তারপর তিনি এগুলো শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, মৌলভীবাজারের কার্যালয়ে এসে রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামের কাছে সেগুলো হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশকর্মী সোহেল শ্যামসহ অন্যান্যরা।

উদ্ধার হওয়া চারটি ছানা একদম ছোট। বয়স আনুমানিক ২০ দিন। যে ব্যক্তি পাখির ছানা বিক্রি করছিলেন তার পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে সূত্র জানায়।

পাখিপ্রেমী রনি বলেন, আমি অটোরিকশায় যাত্রী নিয়ে শ্রীমঙ্গলের নন্দরানী চা বাগানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে নন্দরানী চা বাগানের রাস্তার পাশে মাছরাঙার ছানা বেচা-কেনার দৃশ্য দেখতে পাই। আমি গাড়ি দাঁড় করিয়ে পাখিগুলোকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই। কিন্তু পাখি বিক্রেতা রাজি হননি। পরে আমি দরদাম করে ৪০০ টাকা দিয়ে ছানাগুলো কিনি এবং বন বিভাগের কাছে পৌঁছে দেই।

সোমবার (৮ মে) মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, রনি নামের একজন পাখিপ্রেমী বিক্রেতার কাছ থেকে মাছরাঙার ছানাগুলোকে কিনে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন। ছানাগুলো আমাদের হেফাজতে। মাছরাঙার ছানাগুলো অনেক ছোট। এখনও উড়তে পারে না। উড়তে শিখলে জলাভূমি সংলগ্ন এলাকায় অবমুক্ত করে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২৩
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।