ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

ময়ূরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ল্যাংকাশায়ারবাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১২
ময়ূরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ল্যাংকাশায়ারবাসী

ঢাকা: ময়ূর দেখতে আমরা চিড়িয়াখানায় ছুটে যাই। পেখম মেলা ময়ূর নাচের নয়নাভিরাম দৃশ্যটি দেখার জন্য আমরা চাতকের তৃষ্ণা নিয়ে অপেক্ষা করি।

সেই ময়ূরই যে উপদ্রব হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে সেটা কি ভাবা যায়?

ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ল্যাংকাশায়ার গ্রামের মানুষ এখন ময়ূরের উপদ্রবে অস্থির। বাড়িঘর মাড়িয়ে, ক্ষেতের ফসলে উদরপূর্তি ঘটিয়ে আর রাত-বিরেতে তীক্ষ্ম চিৎকার-চেঁচামেচিতে পাড়া মাথায় তুলে ল্যাংকাশায়ারের অধিবাসীদের অতিষ্ঠ করে তুলেছে ময়ূর নামের এই অনিন্দ্য সুন্দর পাখিটি।

স্থানীয় অধিবাসীদের অভিযোগ, ময়ূরগুলো যখন দল বেঁধে রাস্তা পার হয় তখন রাস্তায় চলাচলরত মানুষজন দাঁড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়। কখনো কখনো ময়ূরগুলো দীর্ঘক্ষণ রাস্তার ওপরেই বসে থাকে।

অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কখনো সখনো ময়ূরগুলোকে তাড়া করা হয়। কিন্তু বিধি বাম, সেগুলো মোটেও ভয় পায় না। এ অভিযোগ করলেন ল্যাংকাশায়ার গ্রামে বসবাসরত জেন ও’হানলোন।

সব মিলিয়ে ময়ূরের বিরুদ্ধে ল্যাংকাশায়ারবাসীর অভিযোগের যেন অন্ত নেই। এত অভিযোগের পরও কেউ কেউ আবার গ্রামের ময়ূরের অবস্থানকে স্বাগত জানায়। কখনো ময়ূরগুলোকে খেতেও দেয়।

তবে ময়ূরগুলো ঠিক কোথা থেকে ওই গ্রামে আসে সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারে না সেখানকার অধিবাসীরা। এ নিয়ে নানা মত প্রচলিত আছে।

কারো মতে ময়ূরগুলো নিকটস্থ কোনো খামার থেকে আসে। এসব ময়ূর প্লেগের জীবাণু বহন করে বলে তাদের ধারণা।
আবার কারো মতে, ২০০৯ সালে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া নিকটস্থ একটি জমিদার বাড়ি থেকে ময়ূরগুলোর আগমন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৭ ঘণ্টা, ২০ জুন, ২০১২
সম্পাদনা: শামসুন নাহার, নিউজরুম এডিটর; আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।