ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

শিক্ষকের বাড়িতে ঢুকে পড়ে সাপখেকো শঙ্খিনী, অতঃপর.. 

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
শিক্ষকের বাড়িতে ঢুকে পড়ে সাপখেকো শঙ্খিনী, অতঃপর..  কল্যাণ দেবের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া শঙ্খিনী। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় এক প্রাইমারি স্কুলপ্রধান শিক্ষকের বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল শঙ্খিনী সাপ। পরে সেটাকে উদ্ধার করে বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) রাতে তার টিসসেড ঘর থেকে এ সাপটি উদ্ধার করা হয়।

শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় ভাড়াউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কল্যাণ দেবের ইছবপুর বাড়িতে বেডরুমে একটি শঙ্খিনী সাপ ঢুকে পরে। কল্যাণ দেব সাপ দেখে আতঙ্কিত হয়ে আমাদেরকে খবর দিলে আমরা প্রাণিটিকে  অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি। বন বিভাগের কাছে একে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, একটুর জন্য কল্যান দেবের স্ত্রী বেঁচে গেছেন। না দেখে রুমে যাওয়া-আসা করার সময় যদি সাপের গায়ে পা পড়লেই বিপদ ঘটতে পারত। যদিও এ প্রজাতির সাপ সহজে ছোবল দেয় না।

‘শঙ্খিনী’র অপর নাম ‘ডোরাকালো-কেউটে’। এদের ইংরেজি নাম ব্যান্ডেড ক্রাইট এবং বৈজ্ঞানিক নাম Bungarus fasciatus. এরা সাপ খাওয়া প্রাণী।  

অর্থাৎ প্রকৃতির নির্বিষ সাপকে কৌশলে ধরে খেয়ে ফেলে এরা। শুধু নির্বিষ সাপ-ই নয়, রাসেল ভাইপারের (Daboia russelii) মতো মারাত্মক বিষধর সাপকেও এই ‘প্রাণঘাতী-সাপ’ শঙ্খিনী খেয়ে ফেলতে সক্ষম। তবে এরা খুবই শান্ত স্বভাবের। সহজে অন্য বিষধর সাপের মতো রেগে গিয়ে ছোবল বসায় না।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৩
বিবিবি/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।