দিনাজপুর: উত্তরের জেলা দিনাজপুরে এবার কিছুটা দেরিতে শীতের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। গত কয়েকদিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের পর ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে এ জেলার তাপমাত্রা।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে দিনাজপুর জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো।
একই সঙ্গে এটি দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাস উপেক্ষা করে মোটা জামাকাপড় পরে কর্মজীবী মানুষরা ঘর থেকে বের হলেও শীতের প্রভাব ছিল স্পষ্ট।
কথা হলে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মহরমপুর গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুল জলিল বলেন, প্রতিদিন সকালে শহরের বাহাদুর বাজারে শিম, ফুলকপিসহ বিভিন্ন শাকসবজি নিয়ে যাই। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পর থেকে শীত বেশি পড়েছে। আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষের জন্য এটা একটু কষ্টকর।
একই ইউনিয়নের কৃষক নুরু শাহ বলেন, বৃষ্টির পর থেকে নিয়মিত সূর্যের দেখা পাওয়া যায় না। জমিতে ধান কেটে রাখা আছে। একটু রোদ পেলে ধানের জন্য ভালো হতো। কিন্তু দুদিন ধরে কুয়াশা আর শীত বেড়ে গেছে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান জানান, রোববার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এছাড়া ভোর ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। শনিবার দিনাজপুরের তাপমাত্রা ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৩
আরএ