ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তনের লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড দ্রুত পেতে বাংলাদেশ পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ২৮তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে প্রত্যাশা, প্রাপ্তি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, কপ-২৮-এ কার্যকর লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড দ্রুত পেতে বাংলাদেশ পদক্ষেপ নেবে। এজন্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বাড়ানো হবে। ওই তহবিলে এ পর্যন্ত ১৯টি দেশ মোট ৭৯২ মিলিয়ন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ ফান্ড ভবিষ্যতে বাড়বে। নতুন তহবিলটি প্রাথমিকভাবে চার বছরের জন্য বিশ্বব্যাংক কর্তৃক পরিচালিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা ২০৫০ সালের মধ্যে আমাদের জিডিপির দুই শতাংশ হারাবো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে। ৯ শতাংশ হারাবো ২১০০ সালে। এখন জলবায়ু পরিবর্তনে আমরা কীভাবে অ্যাডাপটেশন করছি, সবাই বাংলাদেশের কাছ থেকে সেটা জানতে চায়। আমরা কমিউনিটি বেজড অ্যাডাপটেশনে নেতৃত্ব দিচ্ছি। আমরা প্রথম দেশ হিসেবে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডের অ্যাকসেস পেতে চাই। অ্যাকসেস পেয়ে সেই ফান্ডের যথাযথ ব্যবহারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। যেই দেশের সক্ষমতা বেশি, সেই দেশের অগ্রাধিকারও বেশি।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব অতিরিক্ত সঞ্জয় কুমার। পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।
কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক তিনটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক এবং পরিচালক মির্জা শওকত আলী। প্যানেল আলোচনা পরিচালনা করেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের ডিএমডি ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ।
সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল এবার কপ-২৮-এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের চেষ্টায় এবার ‘ইউএই ফ্রেমওয়ার্ক ফর গ্লোবাল ক্লাইমেট রেজিলেন্স’ গ্রহণ করা হয়েছে, যার লক্ষ্য হবে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত ক্রমবর্ধমান প্রতিকূল প্রভাব, ঝুঁকি এবং দুর্বলতা হ্রাস করা, সেই সঙ্গে অভিযোজনমূলক কার্যক্রম এবং সহায়তা বৃদ্ধি করা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
আরকেআর/এইচএ/