সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার দেবহাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দেশীয় বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি এবং পাখি শিকারের ফাঁদ, নাইলনের জাল ও বেশ কয়েকটি শিকারি পাখি জব্দ করেছে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে অভিযানে জব্দ হওয়া পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের (৯) ইন্সপেক্টর নার্গিস সুলতানা বলেন, শীতের শুরু থেকে দেবহাটা ও কালীগঞ্জ উপজেলার কিছু আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচারকারী চক্রের সদস্য বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির পাখি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করে আসছে এবং শিকারি পাখি ব্যবহার করে অবাধে লোহার ফাঁদ ও নাইলনের জাল দিয়ে পাখি শিকার করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের শুরুতে দেবহাটার দক্ষিণ কোমরপুরের আন্তর্জাতিক বন্যপ্রাণী পাচারকারী চক্রের সদস্য আমিরুল ইসলাম ওরফে মধু ডাক্তারের বাড়ি থেকে ছয়টি বিলুপ্ত প্রায় প্রজাতির কালিম, একটি ময়না ও একটি হাঁস পাখি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
পরে কালীগঞ্জ উপজেলার ফুলতলা মোড়ে হবিবুর রহমানের মালিকানাধীন কালীগঞ্জ পাখি ঘর নামক একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে ছয়টি টিয়া পাখি জব্দ করা হয়। তাছাড়া রতনপুর বিল থেকে শতাধিক পাখি ধরার লোহার ফাঁদ ও কয়েকটি শিকারি পানকৌড়ি, গ্রেট ইগরেট ও ধুপনিবক এবং পার্শ্ববর্তী বাগমারি বিলের ১০ বিঘা জমি থেকে অন্তত আটশ ফিট পাখি ধরার নাইলনের জাল জব্দ করা হয়।
দেশের প্রচলিত আইনানুযায়ী বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের পাশাপাশি চোরাশিকারি ও বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের দমনে সাতক্ষীরাসহ আশপাশের এলাকায় আগামীতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের ইন্সপেক্টর নার্গিস সুলতানা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
এএটি