ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

লাউয়াছড়ার প্রবেশমুখে ক্ষতিগ্রস্ত মালাকানা গাছ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৪
লাউয়াছড়ার প্রবেশমুখে ক্ষতিগ্রস্ত মালাকানা গাছ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা ক্ষতিগ্রস্ত মালাকানা গাছটি ঝুঁকি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে | ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের প্রবেশ মুখের পূর্বে মালাকানা প্রজাতির বিশালাকৃতির একটি পুরাতন ও ক্ষতিগ্রস্ত গাছ দাঁড়িয়ে আছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়ে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।

গত বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে একই রকম ক্ষতিগ্রস্ত বিশালাকৃতির একটি মালাকানা গাছ হঠাৎ ভেঙে পড়ে। এতে সবাই আতঙ্কত হয়ে পড়েন। তবে এ দুর্ঘটনায় কোনো হতাহত হয়নি। ওই গাছটি ভেঙে পড়ায় এর নিচের চা স্টলে চা ক্ষেতে আসা মানুষেরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়েছেন।

সম্প্রতি সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, মালাকানা গাছের ডালগুলো পাশের চা স্টলের সীমানার উপর রয়েছে। এখানে চা পান করতে আসা লোকজন এবং তাদের মোটরবাইক, ইজিবাইক, অটোরিকশা প্রভৃতি যানবাহনও রয়েছে ঝুঁকির মুখে।

শ্রীমঙ্গলের ক্যাবল ব্যবসায়ী পার্থসারথি দাস জানান, এই বিশালাকৃতি মালাকানা গাছটিও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোনো সময় এটি ভেঙে পড়ে মানুষের প্রাণহানি ঘটাতে পারে। কেননা, এর নিচেই রয়েছে চায়ের দোকান। নানান জায়গা থেকে লোকজন এখানে চা খেতে আসেন। এই গাছটির নিচে বসে গল্পস্বল্প করেন।

তিনি আরও বলেন, মালাকানা গাছ অপেক্ষাকৃত হালকা ধরনের হয়ে থাকে। গাছের শরীরে পোকার আক্রমণ হলে গাছের ওই অংশটি পঁচে যায়। আর তারপর ভেঙে পড়ে। এছাড়া ঝড়ে ভেঙে পড়ার ঘটনা তো রয়েছেই। গত বৃহস্পতিবার এর উল্টোদিকের গাছটি হঠাৎ ভেঙে পড়ে। আমি ঘটনার ৫ মিনিট পর এখানে এসে দেখি দুই দিকে অনেক যানবাহন আটকে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অন্য গাছটি যদি যথা সময়ে কাটা না হয় তবে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।


সম্প্রতি ভেঙে পড়েছে অপর দিকের গাছটি | ছবি: বাংলানিউজ

২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের জানকিছড়া বিটের শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কে চলাচলকারী চলন্ত অটোরিকশার উপর একটি মালাকানা গাছ পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই কেয়া পাল এবং সম্পা দেব নামে দুই স্বাস্থ্যকর্মী মারা যান। এরা দুজনেই সূর্যের হাসি ক্লিনিকে কর্মরত ছিলেন।

মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, শিগগিরই লোক পাঠিয়ে সড়কের পাশের সেই গাছটির অবস্থান দেখব। তারপর সংশ্লিষ্ট সবার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সংরক্ষিত এলাকায় গাছ কর্তন প্রচলিত আইনের পরিপন্থী। তবে যেহেতু এটি সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশমুখের আগে এবং এর নিচে একটি চা স্টল রয়েছে, সেহেতু আমরা গাছটির বড় বড় ডালগুলো ছাঁটাই করে গাছটিকে ঝুঁকিমুক্ত করার চেষ্টা করব। যাতে গাছটি মানুষ বা যানবাহনের উপর ভেঙে না পড়ে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৪
বিবিবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।