ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

দৃষ্টি নন্দন!

আহ্‌সান কবীর, আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১২
দৃষ্টি নন্দন!

সম্প্রতি এক দুপুরে বারিধারার বসুন্ধরা আবাসিক এলকায় ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া হাউসের আঙ্গিনায় অসাধারণ রঙ-রূপধারী এই দুর্লভ গুই সাপটি ঢুকে পড়ে। শ্রাবণ মেঘের বৃষ্টিহীন দুপুরে দৃষ্টি মনোহর এই প্রাণীটি ঘুরে বেড়াতে থাকে মিডিয়া হাউজের দেয়াল ঘেরা আঙিনায়।

Guishap

একপাশে দাঁড় করিয়ে রাখা সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল বেয়ে উঠছিলো, কখনো সিমেন্ট-বাঁধানো মাটিতে দৌড়ে বেড়াচ্ছিল সে। সম্ভবত খাবারের সন্ধানে পথ ভুল করে এসে পড়ে সে এখানে।

উপস্থিত নিরাপত্তাকর্মী, সাংবাদিক আর দর্শনার্থীদের নজরে পড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই। এসময় উ‍ৎসাহী কেউ কেউ একে পাকড়াও করতে চায়। কিন্তু মিডিয়াকর্মীদের তড়ি‍ৎ হস্তক্ষেপে রক্ষা পায় চক্ষু-বিনোদন সরিসৃপটি। এতক্ষণ সবাই অবাক হয়ে দেখছিলেন অসাধারণ সৌন্দর্য ছড়ানো জীবটিকে।

এসময় হঠাৎ যেন সম্বিৎ ফিরে পান সেখানে উপস্থিত বাংলানিউজের ডেপুটি চিফ ফটোগ্রাফার নাজমুল হাসান। শুরু হয়ে যায় ক্লিক্ ক্লিক্। এসময় সবার মাঝে একটু আশংকাও দেখা দেয়- গেট দিয়ে বাইরে থেকে কোনো গাড়ি ঢোকার মুখে যদি সরিসৃপটি চাপা পড়ে যায় চাকার তলায়! তবে নিরাপত্তাকর্মীদের সতর্ক তৎপরতায় শেষপর্যন্ত নিরাপদেই বাইরে নিজের চেনা-জানা জগতে ফিরে যায় সে। কায়মনোবাক্যে সবাই চাইছিলোও তা।

আবাসভূমি ধ্বংস, খাদ্য সংকট আর দুর্লভ-মহার্ঘ চামড়ার জন্য হত্যার কারণে এরা আজ দুর্লভ থেকে ক্রমশ বিলুপ্তের পর্যায়ে পৌঁছেছে। গিরিগিটি শ্রেণীর এ প্রাণীটির তিনটি প্রজাতি বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এগুলো হলো- সোনা গুই, কালো গুই ও রামগাদি বা বড় গুই। এদের প্রতিটিই বিপন্ন। কালো গুইসাপ দেশের সর্বত্র একসময় দেখা যেত। সোনা গুই পাহাড়ি এলাকায় আর রামগাদির প্রধান আবাস হলো মিঠাপানি ও লোনাপানির সঙ্গম এলাকা, নদীর মোহনা, সুন্দরবন, প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে শুরু করে সমগ্র উপকূলীয় অঞ্চল।

তবে গুইসাপ বা গোসাপ শ্রেণীর গিরগিটি প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বৃহ‍ৎ একটি প্রজাতি আছে যা কমোডো ড্রাগন নামে পরিচিত। ইন্দোনেশিয়ার কমোডো দ্বীপে এই দানবীয় গুইসাপের বসবাস। Guishap

তবে এই গুইটি কোন প্রজাতির তা জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে এটি সোনা গুই, কালো গুই বা বড় গুই কোনো পর্যায়ে পড়ে না। পাঠক, আপনার‍া কেউ কি জানেন?

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ২৬ ‍জুলাই, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।