ঢাকা: বিচিত্র এই প্রাণী জগতের অনেক কিছুই এখনও আমাদের অজানা। তাই, প্রতিনিয়ত অজানার পেছনে ছুটে চলে মানুষ।
অজানার সন্ধানে ছুটে ২৮ মার্চ বিশ্বের প্রথম দুই মাথাওয়ালা হাঙরের সন্ধান পেয়েছেন মিশিগান স্টেট ইউনির্ভাসিটির একদল বিজ্ঞানী।
তারা দাবি করেছেন, এটিই বিশ্বের প্রথম দুই মাথাওয়ালা কোনো হাঙর পাওয়া গেল।
মিশিগান স্টেট ইউনির্ভাসিটির মৎস্য ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক প্রধান সহকারী মিচেল ওয়াগনার বলেন, প্রাণীজগতে বৈচিত্র্যের যে রহস্য রয়েছে, এটি তার একটি প্রমাণ।
শুক্রবার একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম দুই মাথাওয়ালা কিছু বৈচিত্র্যময় প্রাণীর ছবি প্রকাশ করে। সেগুলি হচ্ছে-
হাঙর
বিশ্বের প্রথম দুই মাথাওয়ালা হাঙরের সন্ধান পান মিশিগান স্টেট ইউনির্ভাসিটির একদল বিজ্ঞানী। হাঙরটিকে মেক্সিকোর উপসাগরীয় উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয় বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।
কচ্ছপ
ক্ষুদ্রাকৃতির দুই মাথাওয়ালা এই কচ্ছপটিকে কিউবার হ্যাভানার আলমেন্দারাস নদীর কাছ থেকে উদ্ধার করেন দেশটির এক পুলিশ কর্মকর্তা। কচ্ছপটি কিউবান ‘স্লাইডার টার্টেল’ নামে পরিচিত।
বিড়াল
দুই মাথাওয়ালা বিড়ালটি ইতোমধ্যে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়েছে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার কারণে। দুই মাথা, তিনচোখ ও দুই মুখওয়ালা বিড়ালগুলোর নামকরণ করা হয়ে থাকে রোমান দেবতার নামে।
দুই মুখওয়ালা এ ধরনের বিড়ালগুলো জন্মের অল্প সময়ের মধ্যেই মারা যায়। কিন্তু, ব্যতিক্রমী এই বিড়ালটি ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বেঁচে থাকার কারণে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লিখিয়েছে।
কুমির
মাত্র ১৭ সেন্টিমিটার লম্বা ও ৭০ গ্রাম ওজনের ক্ষুদ্রাকৃতির একটি কুমিরের রয়েছে এক শরীরে দুই মাথা। এ ছাড়া এটির রয়েছে ৮টি পা ও ২টি লেজ।
সাপ
দুই মাথাওয়ালা একটি সাপ বিক্রয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিলে খবরটি প্রকাশ পায়। যুক্তরাষ্ট্রের একটি অ্যাকুরিয়াম সংস্থা ৬ বছর বয়েসী এই সাপটিকে ২১ হাজার পাউন্ডে কিনে নেয়।
প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই মাথাওয়ালা সাপগুলো মাত্র কয়েক মাসের জন্য বেঁচে থাকে। কিন্তু এটি প্রাণী বিজ্ঞানীদের সব তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত করে ৬ বছরে পা দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর