নয়াদিল্লি: ভারতের মধ্যপ্রদেশে গত পাঁচ বছরে ৫৮টি বাঘের মৃত্যুতে উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন।
তবে চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্যের পাশাপাশি আঞ্চলিক সংঘর্ষ ও বয়সের কারণেই রাজ্যে এত বাঘের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট বিভাগের।
রাজ্যের বান্ধবগড়, কানহা, বোরি-সাতপুরা, সঞ্জয় দুবরি ও পেঞ্চ-এ ৬টি বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পে রয়েছে ২৫৭টি বাঘ। পাঁচ বছরে ৯টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে চোরা শিকারিদের হাতে। আর বিভিন্ন কারণে ৪৯টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি ও মে পর্যন্ত মৃত্যু হয় ৬টি বাঘের। ২০০৯ সালে মৃত্যু হয়েছিলো ১৮টি বাঘের।
বাঘের মৃত্যুর এই সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। ঠিক এর পরের বছরেই ১৩টি বাঘের মৃত্যু হয়। তথ্যে অধিকার সংক্রান্ত আইনে বন্যপ্রাণী বিষয়ক কর্মী অজয় দুবের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ তথ্য জানিয়েছে বন বিভাগ।
বন বিভাগ সূত্রে আরও জানানো হয়, ২০০৯ সালে ৩টি, ২০১২ সালে ৩টি, ২০১০ ও ২০১১ সালে ১টি করে বাঘ চোরা শিকারিদের হাতে মারা পড়ে। এদের মধ্যে ৫টি বাঘ বৈদ্যুতিক জালে এবং ৩টি বাঘ বিষ প্রয়োগে মারা গেছে বলে জানা যায়।
শিকারিদের পাতা ফাঁদে গুরুতর জখম হয়ে মারা যায় এক বাঘিনী। বাদবাকি ৪৯টি বাঘ নানা দুর্ঘটনা, নিউমোনিয়ার মতো অসুখে মারা গিয়েছে জানা গেছে। ২০১০-এর বাঘশুমারি অনুযায়ী, ভারতে বর্তমানে মোট ১৭০৬টি বাঘ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৩
এসপি/সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর