ঢাকা: হাতে বেশি সময় নেই। সময় পাওয়া যাবে সাড়ে সাঁইত্রিশ বছর।
অর্থাৎ বন্যার তোড়ে ভেসে যাওয়ার আগে সাড়ে সাঁইত্রিশ বছর সময় রয়েছে কলকাতা আর মুম্বাইয়ের হাতে। ওই হিসেবে সালটা হবে ২০৫০।
এই সময়ের মধ্যে এই দুই উপকুলবর্তী শহর যতই উন্নতি করুক, যেমন খুশি সতর্কতা নিক না কেন, বন্যার জলকে বাগে আনতে পারবে না।
ফলে শহরগুলির অধিকাংশ এলাকাই দীর্ঘদিন ধরে থাকবে জলের নিচে। ভেঙে পড়বে অসংখ্য ঘরবাড়ি। চরম ক্ষতির মুখোমুখি দাঁড়াবে ভরতের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ শহর। কলকাতার বছরে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে বছরে ৩৪০ কোটি মার্কিন ডলারের সমান।
মুম্বাইয়ের ক্ষতির অঙ্কটা হবে তার প্রায় দ্বিগুণ। বছরে ৬৪০ কোটি ডলার। আর শুধু মুম্বাই বা কলকাতা নয়। ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে ভারতের সমস্ত উপকূলবর্তী শহরকেই।
চেন্নাই, পুদুচেরি, কোটি, পানাজি বাদ যাবে না কোনওটাই। ২০৫০ সালের এক ভয়াল বন্যায় ডুববে গোটা পৃথিবীর ১৩৬টি উপকূলবর্তী শহর। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক বার্ষিক ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে এক লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ পত্রিকায়। রিপোর্ট বলছে, যদি ২০৫০ সালের মধ্যে এই শহরগুলি নিজেদের সুরক্ষাবলয় আমূল পরিবর্তন ও উন্নত না করে তা হলে এই বন্যার ধ্বংসলীলা ঠেকানো প্রায় অসম্ভব।
বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলির আর্থিক পরিস্থিতিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণে এই বিপুল অর্থব্যয় সম্ভব না হওয়াই স্বাভাবিক। আর সেটা হিসাব করেই ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারিত হয়েছে।
কী হবে ২০৫০ সাল? কেনই-বা হবে এই ভয়াবহ বন্যা? গবেষকরা জানাচ্ছেন, বাড়তে থাকা জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদের লাগামছাড়া ব্যবহার, তেল-আকরিক-কয়লার মতো খনিজ সম্পদের পরিমাণ তলানিতে ঠেকে যাওয়ায় প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এর উপর রয়েছে দূষণ আর উষ্ণায়নের বিপদ।
বাংলাদেশ সময় : ১১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৩
এসএস / এসআরএস