সিলেট: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অপরিকল্পিতভাবে ঝোপঝাড় পরিষ্কার অভিযান বন্ধ রাখার জন্য প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও প্রকৃতি বিষয়ক সংগঠন গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি।
পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সোমবার গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটির একদল প্রতিনিধি বিশ্ববিদ্যালয়ে জীববৈচিত্র্য ও সাপ রক্ষার্থে প্রশাসনের কাছে এ স্মারকলিপি দেয়।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে রেজিস্ট্রার ইশফাকুল ইসলাম এ অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আরও দু’মাস পরে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হবে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন।
গ্রিন এক্সপ্লোর সোসাইটি জানায়, বর্ষা মৌসুম এখনও চলছে। এসময় সাপ ও অন্যান্য পরিবেশ রক্ষাকারী জীবজন্তুর প্রজনন প্রক্রিয়াও চলে। অপরিকল্পিতভাবে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করলে জীবজন্তুর প্রজনন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটবে। সাপ আশ্রয়ের খোঁজে শিক্ষার্থীদের হলে ছুটে আসবে। এতে আতংকিত হয়ে ছাত্ররা সাপ মারতে উদ্যত হবে।
স্মারকলিপিতে পরিবেশবাদী এ সংগঠনটি বলেছে, চলতি বর্ষা মৌসুমের পরে শুষ্ক মৌসুমে ঝোপঝাড় পরিষ্কার হলে ক্যাম্পাসের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষকারী সাপ তখন বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন হলের দিকে ছুটে আসবে।
এজন্য শুষ্ক মৌসুমে ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার জন্য তারা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।
স্মারকলিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রাফসান হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর আহমদ ও কোষাধ্যক্ষ হাসান আহমদ।
প্রসঙ্গত, পাহাড় টিলা সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যাল ক্যাম্পাসের অধিকাংশ জায়গা জুড়ে ঝোপঝাড় রয়েছে। এসব ঝোপঝাড়ে বাস করে কয়েক প্রজাতির সাপ ও অন্যান্য জীব। তবে শাবিপ্রবির পরিবেশ সংগঠনটি একটি জরিপে এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বিষাক্ত সাপ পায়নি।
সংগঠনটি সদস্যরা সদস্য বলছেন, অধিক গাছপালা ও তৎসংলগ্ন ঝোপঝাড় বন্যপ্রাণীর জন্য অভয়াশ্রম। ক্যাম্পাসের উন্নয়ন করাটা যেমন জরুরি, তেমনি পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করাও জরুরি। দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকল্পিতভাবে ঝোপ-জঙ্গল ও গাছ কাটলে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৩
এসএ/এএ/এমজেডআর