ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

শেরপুরে উদ্ধার হয়েছে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৩
শেরপুরে উদ্ধার হয়েছে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর

শেরপুর: বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং স্বেচ্ছাসেবী পরিবেশবাদী সংগঠন শাইন্’র উদ্যোগে বিরল প্রজাতির এক লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে।

১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের বাঘেরচর গ্রাম থেকে শেরপুর সদর থানা পুলিশের সহায়তায় বানরটিকে উদ্ধার করা হয়।



শেরপুরের স্বেচ্ছাসেবী পরিবেশবাদী সংগঠন শাইন্’র নির্বাহী পরিচালক মো. মুগনিউর রহমান মনি বাংলানিউজকে জানান, গত ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে সদর উপজেলার বাঘেরচর গ্রামের কৃষক বশর উদ্দিনের বাড়িতে লজ্জাবতী এই বানরটি ধরা পড়ে। এরপর গত চারদিন ধরে বানরটিকে ওই বাড়িতেই আটক রাখা হয়।

সংবাদ পেয়ে শনিবার দুপুরে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, শেরপুরের বন্যপ্রাণী ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ও পরিবেশবাদী সংগঠন শাইন্’র নির্বাহী পরিচালক মো. মুগনিউর রহমান মনি বাঘেরচর গ্রামে গিয়ে বানরটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। কিন্তু স্বেচ্ছায় বানরটিকে ফেরত দিতে কৃষক বশর উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন অস্বীকৃতি জানান।

অবশেষে এই দুই পরিবেশকর্মী শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মাজহারুল করিমের শরনাপন্ন হন। পরে ওসির নির্দেশে সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. বন্দে আলী মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাঘেরচর গ্রামে গিয়ে বানরটিকে বশর উদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন।

পরিবেশবাদী সংগঠন শাইন্’র নির্বাহী পরিচালক মো. মুগনিউর রহমান মনি সোমবার বিকেলে বাংলানিউজকে বলেন, রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বানরটিকে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের হেড অফিস ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সুবিধাজনকস্থানে লজ্জাবতী বানরটিকে যথা শিগগির অবমুক্ত করা হবে।

শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৩
আরএ/এসআরএস- eic@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।