ঢাকা: পৃথিবীর সবচেয়ে বড়, বৈচিত্র্যময় বন আমাজন। দক্ষিণ আমেরিকার এই বনের অনেক রহস্যই এখনো অজানা।
আমাজনে রয়েছে ১২০ ফুট উঁচু গাছ, ৪০ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ২.৫ মিলিয়ন প্রজাতির কীট-পতঙ্গ, ১ হাজার ২৯৪ প্রজাতির পাখি, ৩৭৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ৪২৮ প্রজাতির উভচর এবং ৪২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী সহ হাজারো প্রজাতির অজানা জীব-অণুজীব।
আমাজনে রয়েছে বানর পিগমি মারমোসেট। এরা পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম বানর। এদের দৈর্ঘ্য গড়ে ৬ ইঞ্চির মতন এবং ওজন হয় ১২০-১৪০ গ্রামের মতো এর আরও কিছু ডাকনাম আছে। যেমন, পকেট মানকি, লিটল লায়ন প্রভৃতি।
পৃথিবীর সব পাখির এক পঞ্চমাংশ পাখি এই বনের অধিবাসী।
এখানে পাওয়া যায় গোলাপি ডলফিন (একমাত্র ডলফিন প্রজাতি যা স্বাদু পানিতে বাস করে)।
বিশ্বের শতকরা ২৫ ভাগ ফার্মাসিটিক্যাল ওষুধের গাছ আসে এই আমাজন বন থেকে।
পয়সন অ্যারো নামে ক্ষুদ্র আকৃতির এক ব্যাঙ পাওয়া যায় এখানে। কিন্তু এর বিষ এতটাই তীব্র যে এটি এক মুহূর্তে প্রায় একশো জন মানুষকে মেরে ফেলতে পারে! এ যাবতকালের জানামতে এই ব্যাঙের বিষই সবচেয়ে তীব্র।
সারা পৃথিবির লোকজন যেখানে মাত্র ২০০ জাতের ফল ভোগ করে সেখানে আমাজনের বাসিন্দারা ২ হাজার জাতের বিভিন্ন ফল উপভোগ করেন।
এই বনে যত গাছ বিজ্ঞানিরা ওষুধের জন্য পরীক্ষা করেছেন তার সংখ্যা মোট সংখ্যার মাত্র ১ শতাংশ। বাকি ৯৯ শতাংশ গাছই এখনো পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। কে জানে, সেই বাকি ৯৯ শতাংশ গাছে হয়তো রয়ে গেছে নতুন কোনো রোগের চিকিৎসা!
আমাজনকে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ বলা হয়। । কেনো বলা হয় জানেন? কারণ, এটি পৃথিবীতে মোট উৎপাদিত অক্সিজেনের ২০ শতাংশ একাই সরবরাহ করে।
পৃথিবীতে যত ধরনের গাছপালা আছে তার মধ্যে ১/৩ (এক তৃতীয়াংশ) পাওয়া যায় এই আমাজন বনে।
আমাজনের বর্তমান আয়তন হলো ২.৬ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার। পূর্বে কত ছিল জানতে চান? ৬ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার। বন ধ্বংস এবং বাসস্থানের জন্য বন কাটায় আজ এর আয়তন এত কমেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৩
এএ/এমজেডআর