ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

ব্যথাজয়ী হরিণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০১৩
ব্যথাজয়ী হরিণ

ঢাকা: অমানবিক, প্রায় অলৌকিক এই ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার নিউজার্সির একটি বাগানে।

সুশান নামের এক নারী তার বাড়ির পেছনের বাগানে দেখতে পান, একটি হরিণের মুখে বিঁধে রয়েছে তীর।

কিন্তু রক্ত ঝরছে না, আবার হরিণটি নড়ছেও না। এ দৃশ্য দেখে তিনি খুবই মর্মাহত হন।

সুশান তার ফেসবুকে হরিণটির একটি ছবি তুলে আপলোড করেন। ছবিতে দেখা যায়, একটি হরিণের মুখে বিঁধে আছে তীর। কিন্তু কোনো রক্ত ঝরছে ন। হরিণটি ছটফটও করছে না!

এমনকি সুশান যখন হরিণটির কাছে যান, তখনও সে নিশ্চুপ মায়াবী চোখে তাকিয়ে ছিল। পাশে যাওয়া সত্ত্বেও হরিণটি ভীত হয়নি।

তবে ফেসবুকে ছবিটি পোস্ট করার পর ব্যাপক ঝড় তোলে। অনেকে প্রতিক্রিয়া জানান। সমবেদনাও জানান অনেকে।

সুশান সঙ্গে সঙ্গে প্রাণী নিয়ন্ত্রক অফিসে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, হরিণটি তার বাড়ির পেছনের বাগানে নিয়মিত আসতো। তার বাগানের নাশপতি গাছ এবং সুদৃশ্য জলাধার দেখে হরিণটি আকৃষ্ট হতো বলেও মনে করেন সুশান।

ছবি দেখে ডেইলি মেইলের সংবাদকর্মীরা যোগাযোগ করলে সুশান বলেন, আমি অনেক শিকারিকে চিনি। আমি নিশ্চিত, তারা এটা ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটান নি। কেউ যদি হরিণটাকে এভাবে দেখতেন তবে হরিণটি এ অবস্থায় থাকতো না।

সুশান সাংবাদিকদের আরও বলেন, আমি একদিন সকালে হরিণটিকে ওই অবস্থায় দেখে তার কাছে এগিয়ে যাই। হাতে আমার ক্যামেরাটাও ছিল। আমি অবাক হই। এক পর্যায়ে ছবি তুলতে চেষ্টা করি। কিন্তু হরিণটি তখনো দিব্যি দাঁড়িয়ে ছিল!’

সুশান রাজ্যের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগে খবর দেন এবং তাদের সাহায্য করতে অনুরোধ করেন। কর্তৃপক্ষও সাড়া দিয়ে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে।

আমেরিকার ৫০টি অঙ্গরাজ্যে হরিণ শিকার বৈধ। তবে হরিণের গায়ে অস্ত্রের আঘাত করে মারার বিধান রয়েছে। মাথায় আঘাত করে মারা অপরাধ।

তবে এই অতি অমানবিক দৃশ্যটি মেনে নিতে পারছেন না বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৩
এএ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।