সেন্টমার্টিন থেকে: পূর্ণিমার ভরা জোয়ারে ভেসে এলো সে। বয়স আনুমানিক ১৫ বছরের বেশি।
সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন। দোল পূর্ণিমার আলো যখন নারিকেল জিঞ্জিরার চারপাশ ভাসিয়ে দিচ্ছিল মায়াবী আলোর ঝর্ণায়, সমুদ্রে তখন ভরা যৌবন। জোয়ারের পানি সগজর্নে এসে আছড়ে পড়ছে কেয়াবনের পায়ে। সেই পানির তোড়েই মরা কচ্ছপটি ভেসে এলো প্রবাল দ্বীপের বালুকা বেলায়।
কচ্ছপটি যেখানে এসে পৌঁছালো এই স্থানটি কচ্ছপের ডিম পাড়ার সংরক্ষিত এলাকা। দিনের বেলা দেখেছিলাম এমনই একটা সাইনবোর্ড।
হয়তো দূর সাগর থেকে সে এই স্থানে ডিম পাড়তে আসছিল। পথে হয়তো কোনো জেলের জালে আটকা পড়ে জেলের হাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
আগেও সেন্টমার্টিন, টেকনাফ, শাহপরীর দ্বীপসহ নানা স্থানে এমন কচ্ছপের মৃতদেহ দেখেছি। কুকুর শেয়ালের পেটে গেছে সেগুলো।
কিন্তু বরাবরই এ নিয়ে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়েনি, সাইনবোর্ড লাগানো ছাড়া। কিন্তু কচ্ছপদের মৃত্যুর মিছিল থামেনি।
বরং মানুষের হাতে প্রতিনিয়ত তাদের যেমন মৃত্যু হচ্ছে, তেমনি তাদের ডিম পাড়ার স্থানগুলোও হচ্ছে বিপন্ন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৬
আরএম/এসআর