শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): বেলা তখন সাড়ে ১১টা। দুপুরের খাবারের সময় প্রায় হয়ে এসেছে।
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের চাউতলি বিটের দুর্গম এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) শিকার শেষে হরিণটি পুরো গিলে খেলে তার সময় লাগে দু’ ঘণ্টা।
প্রায় বারো ফুট লম্বা অজগর প্রায় ১৪/১৫ কেজি ওজনের হরিণকে শিকার করেছে, প্রথম কাজ হরিণটিকে আহত করা। তাই বাম পায়ে কামড় দিয়ে হরিণটির আহত করে অজগরটি। এরপরের কাজ মাটিতে ফেলে দিয়ে হরিণটির সারা শরীরে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা।
শিকার পর্ব শেষ হতেই হরিণটির মাথার দিক থেকে গিলতে শুরু করে অজগরটি।
এই গল্প শোনালেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজার রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) তবিবুর রহমান। ঘটনাটি শুনেই তিনি দ্রুত ছুটে যান লাউয়াছড়ায়।
বনবিভাগের কর্মী ছাড়াও সেখানে তখন জড়ো হয়েছে পাহাড়ি লোকজন।
বাংলানিউজকে তবিবুর রহমান বলেন, আমি যখন দুপুর ১২টায় পৌঁছালাম, তখন অজগরটি মাত্র ১০ শতাংশ গিলেছে হরিণটিকে। এটি প্রকৃতির সাধারণ নিয়ম, একইসঙ্গে প্রাণিদের খাদ্যশৃংখলের উজ্জ্বল উদাহরণ। এমন দৃশ্য প্রকৃতিতে অনেক হয়, কিন্তু চোখে দেখার সুযোগ হয় না।
এখন বলা যায়, লাউয়াছড়ার জীববৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষিত রয়েছে।
হরিণটিকে খাবার পরে অজগরটি আর নড়তে পারছিলো না। কেউ যেন অজগরটিকে ধরতে না পারে, সেজন্য সর্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে, জানান এই বন কর্মকর্তা।
অজগর বিশালাকৃতির বিষমুক্ত সাপ। এরা শিকারকে অত্যন্ত জোরে পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর আস্তে আস্তে গিলে ফেলে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৬
বিবিবি/এটি