ঢাকা: পৃথিবীতে ডায়নোসরের বসবাস ছিলো এখন থেকে প্রায় ১শ ৮০ মিলিয়ন বছরেরও বেশি সময় আগে। সর্বনাশা উল্কাপিণ্ডের পতন তাদের পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে বলেই জানতো কমবেশি সবাই।
গবেষণার প্রধান গবেষক যুক্তরাজ্যের রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবাশ্মবিদ ড. মানাবু সাকামোতোর ভাষ্যমতে, বিবর্তন অর্থে ডায়নোসররা নিজেদের মৌলিকতা হারিয়ে ফেলেছিলো। পাশাপাশি টাইরানোসরাস রেক্স (টি রেক্স) থেকে ব্রাঙ্কিওসরাস পর্যন্ত ডায়নোসরের বিচিত্র প্রজাতিও হারিয়ে যেতে থাকে।
সম্প্রতি জার্নাল প্রসেডিংস অব ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সে প্রকাশিত এ গবেষণায়, জীবশ্ম তথ্য ও কম্পিউটিং পরিসংখ্যান ব্যবহার করে বিভিন্ন ডায়নোসরের বংশ বিশ্লেষণ শেষে বিজ্ঞানীরা অনুসন্ধানের উপসংহার টেনেছেন।
সবগুলো প্রমাণে দেখা গেছে, যেসব ডায়নোসররা ১শ ৫০ মিলিয়ন বছর ধরে স্থলজ বাস্তুতন্ত্রে আধিপত্য বিস্তার করেছিলো, কোনো কারণে তারা অতি দ্রুত নিজেদের ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এর ফলে পরবর্তীতে উল্কাপিণ্ড আঘাত হানায় পরিবেশে যে দুর্যোগ সৃষ্টি হয় তা থেকে তারা নিজেদের পুনরুদ্ধার করতে পারেনি বলে জানান ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের অধ্যাপক মাইক বেনটন।
ধ্বংসাত্মক বিরাট একটি উল্কাপিণ্ড মেক্সিকো উপসাগরে আঘাত হেনেছিলো এখন থেকে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগে। উল্কাপিণ্ড থেকে শকওয়েভের প্রভাব, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ও ভূমিকম্পের সম্মিলিত প্রভাবে ডায়ানোসর বিলুপ্ত হয়।
এখানে একটি বিষয় হচ্ছে, গ্রহাণু পতনের আগে ডায়নোসরদের জীবনচক্র কী অবস্থায় ছিলো।
গবেষক সাকামতো ডায়নোসর বিলুপ্তির রহস্যমোড়া কফিনে শেষ পেরেক গেঁথে বলেন, সেসময় ডায়নোসরের নতুন প্রজাতি উৎপাদন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিলো ও পুরোনো প্রজাতিও সমানতালে মারা যাচ্ছিলো। এতেই প্রমাণ হয়, গ্রহাণু পতনের বহুসময় আগে থেকেই ডায়নোসরেরা ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলো। তা হতে পারে পরিবেশগত পরিবর্তন যেমন- মহাদেশ বিচ্ছেদ, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধি ও আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তা বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
আর এসবই ডায়নোসরের আবাস্থল ধ্বংস ও সীমিত বংশবৃদ্ধির সম্ভাব্য কারণ হিসেবে যুক্তি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৬
এসএমএন/এসএনএস