সিলেট: বনে-বাদারে নয়, বানর ছুটে আসে মানুষের সন্ধানে। যেখানে মানুষের গন্ধ পেলেই দৌড়ে পালায় প্রাণীটি, সেখানে মানুষের পথের পানে চেয়ে থাকা!
অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, পূণ্যভূমি সিলেট নগরীর গোয়াইটুলায় চাষনীপীরের মাজারের দৃশ্য এমনই।
দু’একটি নয়, শত শত বানরের আবাসস্থল এই মাজার। আগে বুনো খাদ্য সংগ্রহ করতে পারতো এসব বানর। এখন ক্রমশ বন উজাড়ের কারণে খাদ্য সঙ্কটে আছে তারা।
খাদ্য সঙ্কটে অনেক বানর আবাসস্থল ত্যাগ করছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
শেখ শাহ আলীর মাজারটি-ই চাষনী পীরের মাজার হিসেবে পরিচিত। মাজার জিয়ারতে আসা ভক্ত-আশেকানরা বানরের জন্য খাবার নিয়ে আসেন। তাদের দেওয়া কলা, মটর, বিস্কুট খেয়েই বেঁচে থাকে তারা। তবে মানুষের কোনো ক্ষতি করে না এরা।
মাজার সংলগ্ন কলবাখানি আবাসিক এলাকার প্রতিটি বাড়ির সীমানা প্রচীর, ঘরের চালা কিংবা ছাদের ওপরে দলবদ্ধ বানরদের অবাদে বিচরণ করতে দেখা যায়। এমনকি রাস্তায় ছাগলের সঙ্গেও তাদের সখ্যতা।
কলা খাওয়ার পর আহার হিসেবে ছাগলকে কলার খোসা এগিয়ে দেয় বানর। ছাগল-বানরের সখ্যতা মুগ্ধ করে আগন্তুকদের।
স্থানীয় বাসিন্দা ওয়ারিছ আলী বলেন, এমনিতে কোনো ক্ষতি করে না, উত্ত্যক্ত করলে হামলা করে বানর। অন্যথায় কোনো ক্ষতি করে না। বরং মানুষের কাছে এসে খাবার নিয়ে খায়।
সম্প্রতি মাজারের আশ-পাশের গাছ-গাছালি উড়াড়ের কারণে খাদ্য সঙ্কটে ভুগছে বানরগুলো।
চাষনীপীরের মাজারের অবস্থান সিলেট সিটি করপোরেশনের ৫নং ওয়ার্ডের কলবাখানি এলাকায়। নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে রিকশায় ভাড়া লাগবে ২০-৩০ টাকা, সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ৬০-৭০ টাকা।
সিলেট রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল থেকে সিএনজি অটোরিকশায় ভাড়া লাগবে ১০০ আর রিকশায় ৩০-৪০ টাকা। শাহজালাল মাজার থেকে রিকশায় চাষনীপীরের মাজারে ১০-১৫ টাকা ভাড়া লাগবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৬
এনইউ/এমএ