শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): হাওর অধ্যুষিত ও চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলে হাওরাঞ্চলের পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় শ্রীমঙ্গলের গ্র্যান্ড সুলতান অ্যান্ড টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফের নওমি মঞ্জিলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
‘হাওর অঞ্চলের প্রেক্ষিতে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত নীতিমালাসমূহের উপযোগিতা বিশ্লেষণ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জ্যেষ্ঠ সচিব অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।
তিনি বলেন, সমস্যা আগেও ছিলো এখনও আছে, তবে তা সমাধানের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। হাওর সম্পদের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য হাওর বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও গবেষণা করা প্রয়োজন।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মিহির কুমার দো বলেন, হাকালুকি হাওরে একসময় বিভিন্ন ধরনের বন্যপ্রাণী ছিলো, যা বন ধ্বংসের সঙ্গে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
তাই হাওরের ১০ শতাংশ এলাকাকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে বনায়নের পরামর্শ দেন তিনি।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ রাস্তাঘাট তৈরি করার ফলে অনেক ক্ষেত্রে মাছের চলাচল বিঘ্নিত হয়। যার খোঁজ মৎস্য অধিদফতর রাখে না। তাই বিষয়টিতে নজর দেওয়া উচিৎ।
অনুষ্ঠানে দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারীকেও হাওর সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে মত দেন ইউএনডিপি বাংলাদেশ-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট কান্ট্রি ডিরেক্টর শায়লা খান।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বিভাগের মহাপরিচালক মজিবুর রহমান।
কর্মশালায় সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস) এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. এম মোখলেছুর রহমান মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন।
কর্মশালায় জানানো হয়, হাওর একটি বিশেষ প্রতিবেশ অবস্থা। হাওর মাস্টার প্লান অনুযায়ী বাংলাদেশে ৩৭৩টি হাওর রয়েছে, যা ২০ হাজার ২২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এসব হাওর দেশের কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে অবস্থিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৬
বিবিবি/এমএ