ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

প্রত্যেকে বন ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে পারেন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৬
প্রত্যেকে বন ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে পারেন ছবি: বাংলানিউজ

সাক্ষাৎকারের আগের অংশ পড়তে ক্লিক করুন-
* দেয়ার ইজ নো ফাইনাল ভিক্টরি ইন কনজারভেশন
* প্রত্যেকে বন ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে পারেন

 

বাংলানিউজ: সিসিএ’র গবেষণাকাজের অর্থায়ন কীভাবে হয়?
শাহরিয়ার সিজার রহমান:
অর্থায়নের দিকটাই সবচেয়ে কঠিন। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, বাইরে থেকে যে ফান্ডগুলো আসে সেখানে কিছু ধরাবাধা নিয়ম থাকে যে, এইভাবে কাজ করতে হবে।

ছোট ছোট ফান্ডে কাজ বেশি হয় কিন্তু বড় ফান্ডে প্রচুর টাকা নষ্টও হয়। দুর্নীতি যে আমরাই শুধু করি তা নয়, সিস্টেমেও অনেক সমস্যা রয়েছে।   
 
বাংলানিউজ: সাধারণ মানুষের তো এনজিও ও বিদেশি ফান্ডের কাজ নিয়ে অনেক নেতিবাচক ধারণা রয়েছে...
শাহরিয়ার সিজার রহমান:
হ্যাঁ, তা তো রয়েছেই। সেগুলো যে নেই তাও নয়। সেসব থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাইছি। আপতত আমরা বাইরের ফান্ডের উপর নির্ভরশীল। তবে আমরা নিজেরাই নিজেদের গবেষণার খরচ বের করে আনার কিছু টেকসই উপায় খুঁজছি। এজন্য আমরা ক্র্যাফটের মাধ্যমে একটি স্যোশাল বিজনেস মডিউল ডেভেলপ করার চেষ্টা করছি।  
 
বাংলানিউজ: নিজস্ব ফান্ডের উপর নির্ভরশীল হয়ে গবেষণা চালিয়ে নেওয়া কী সম্ভব হবে?
শাহরিয়ার সিজার রহমান:
হ্যাঁ। বাইরের দেশে যারা ফান্ড দেন তারা তো এভাবেই ফান্ড সংগ্রহ করেন। বাংলাদেশের করপোরেট প্রতিষ্ঠানে সেই চর্চা এখনও তেমন শুরু হয়নি। হলে আমাদের কাজ করা আরও সহজ হবে।
 
বাংলানিউজ: সিসিএ’র পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা কী?
শাহরিয়ার সিজার রহমান:
অতি সম্প্রতি আমরা ১৩ জন ম্রো-কে নিয়ে একটি কর্মশালা করলাম। উদ্দেশ্য, বনের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে তাদের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পে টেকসই পেশা তৈরি করা। এজন্য বাজার তৈরি করাটা ভীষণ জরুরি। আমরা সবই করলাম কিন্তু ক্রেতার কাছে না পৌঁছালে কিছুই দাঁড়াবে না। এটিকেই তাদের টেকসই পেশা হিসেবে গড়ে তুলতে একই সঙ্গে বাজার সৃষ্টিও ভীষণ জরুরি। সেগুলো নিয়েই কাজ চলবে।

বন ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে সিসিএ’র সঙ্গে কাজ করা বা এর পাশে দাঁড়ানোর কী সুযোগ রয়েছে?
শাহরিয়ার সিজার রহমান:
নানাভাবে সুযোগ রয়েছে। আমাদের অনেকেই ইন্টার্ন গবেষক বা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন। ইচ্ছুক যে কেউ এটি করতে পারেন। এছাড়া চাইলে অর্থসাহায্য বা সংশ্লিষ্ট যেকোনো সহযোগিতা দিয়েও প্রত্যেকে বন ও বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে পারেন। এই যে হস্তশিল্পের মাধ্যমে আমরা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের বনের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ভিন্ন টেকসই পেশার দিকে নিয়ে যাচ্ছি, এতে আপনি শুধু তাদের তৈরি একটি জিনিসই কিনবেন না- দেখা যাবে, পরোক্ষভাবে আপনার টাকায় একটি গাছ বাঁচছে। একইভাবে আপনি সংরক্ষণ করছেন বন, বন্যপ্রাণি, একটি জনগোষ্ঠী এবং তাদের ঐতিহ্য-সংস্কৃতিও।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৬
এসএনএস/আরআই  

** সবে শুরু, লক্ষ্য বহুদূর​
** হস্তশিল্পে ভবিষ্যৎ দেখছে ম্রো জনগোষ্ঠী
** প্রজন্মের মধ্যে হস্তশিল্পকে টিকিয়ে রাখা জরুরি
** ঐতিহ্য ও আধুনিকতা বিনিময়ের কর্মশালা

** কক্সবাজারে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীদের নিয়ে কর্মশালা 
   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।