কিশোরগঞ্জ: নিজ বাড়ির বারান্দা পরিস্কার করছিলেন কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার দাসপাড়ার বৃদ্ধা সরমিকা রানী দাস।
এ সময় কাকের তাড়া খেয়ে ওই বারান্দায় আশ্রয় নেয় বিরল প্রজাতির একটি ঝুঁটিওয়ালা পাখি।
এ সময় আবারো পাখিটিকে তাড়া করে কাক। তাড়া খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে সেই পাখিটিকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন স্থানীয় নরোত্তম দাস, মিঠু দাস, সুদীপ দাস ও প্রদীপ দাস।
অচেনা পাখিটিকে নরোত্তম দাস নিয়ে যান উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ সাইফুল আলম পাখিটির প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন। এছাড়া প্রয়োজনীয় ওষুধও দিয়ে দেন। তবে তাদের কেউই পাখিটি চিনতে না পারায় এলাকায় ব্যাপক কৌতুহল দেখা দেয়। এমনকি চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ সাইফুল আলমও পাখিটি চিনতে পারেননি।
বর্তমানে পাখিটি তার হেফাজতে রয়েছে। সুস্থ হলে এটিকে ছেড়ে দেবেন তিনি।
পরে যোগাযোগ করা হলে পাখি আলোকচিত্রী মো. আবু বকর সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, পাখিটির নাম কালো বাজ। ইংরেজি নাম Black Baza। এর খাড়া ও কালো ঝুঁটি থাকে।
তিনি জানান, কালো বাজ উপমহাদেশের পাখি। প্রজনন মৌসুমে তারা দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে চলে আসে। বাংলাদেশের পাহাড়ি বা জঙ্গল বিস্তৃত এলাকায় মাঝে-মধ্যেই এদের দেখা মেলে। কালো বাজ আকারে প্রায় কাকের সমান। এরা দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩৩ সেন্টিমিটার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
এসআর