খুলনা থেকে: রেজাউল করিমের আয়ের একটি বড় উৎস মুরগির খামার। মুরগি এবং মুরগির ডিম বিক্রির পাশাপাশি চীনা হাঁসও পালন করেন তিনি।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নে বাড়ির পাশেই তার খামার। সেখানে রয়েছে চার পেয়ে বিরল একটি মুরগি!
গত তিন মাস আগে প্রায় আড়াই হাজার বাচ্চা ফোটে তার খামারে। এর মধ্যে জিনগত বিকৃতির (পলিমেলিয়া) কারণে একটি বাচ্চা চার পা নিয়ে জন্ম নেয়।
সাড়ে ৭শ’ গ্রাম ওজনের মুরগিটির কেবল চারটি পা-ই নয়! দু’টি মলদ্বার রয়েছে।
সাদা রঙের এই মুরগির শারীরিক গঠন আকৃতি অস্বাভাবিক হলেও চলাফেরা করতে পারে স্বাভাবিকভাবে, বলেন রেজাউল।
তিনি বলেন, তার খামারের ২৫শ’ মুরগির মধ্যে সংক্রামক রোগে ৩০০ মুরগি মারা যায়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এটি বেঁচে যায়।
প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসে রেজাউলের বাড়িতে চার পেয়ে মুরগি দেখতে। যতদিন বেঁচে থাকে মুরগিটিকে তার কাছেই রাখতে চায় রেজাউল।
বললেন, খানজাহান আলী শ্রী মনি চিড়িয়াখানা থেকে প্রতিনিধি দল এসে আড়াই হাজার টাকার বিনিময়ে মুরগিটি নিয়ে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু বিক্রি করতে চাই না। যত দিন বাঁচবে, আমার কাছেই থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৬
এটি