বিজ্ঞানীরা বলেন, পোকামাকড় হলো পৃথিবীকে সচল রাখা এক অদৃশ্য শক্তি। পোকা যদি না থাকতো তবে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য উৎপাদন সম্ভব হতো না।
মার্কিন পতঙ্গবিজ্ঞানী মেইস ভন ও জন লোসি গভীরভাবে গবেষণা করেন পোকামাকড়ের অর্থনৈতিক গুরুত্বের উপর। এ দুই বিজ্ঞানীর মতে, শুধু প্রাকৃতিক খাদ্য হিসেবেই পোকা ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক ভূমিকা রাখে। কারণ, পোকারা বেশিরভাগ প্রাণী যেমন- পাখি ও মাছের প্রধান খাদ্য। আর খাদ্য-শৃংখলে পোকা-মাকড়ের অবস্থান একদম প্রাথমিক পর্যায়ে।
প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবেও পোকার গুরুত্ব অনেক। অনেক অঞ্চলের কৃষিজমিতে ক্ষতিকর পোকা দমনে ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির পোকা ব্যবহার করা হয়।
মৌমাছি মিশর সভ্যতার আমল থেকে মানব সম্প্রদায়কে মধু দিয়ে আসছে। তাছাড়া মেক্সিকো, চীন, থাইল্যান্ড, ব্রুনাইসহ অনেক দেশের মানুষই বিভিন্ন প্রজাতির পোকা খায়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পৃথিবী থেকে পোকা বিলুপ্ত হয়ে গেলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। জলবায়ু পরিবর্তন পোকা-মাকড়ের বিচরণক্ষেত্রকে প্রভাবিত করছে। কোনো অঞ্চলে উদ্ভিদের সংখ্যা কমে গেলে ওই উদ্ভিদের উপর নির্ভরশীল পোকাও বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া সুনির্দিষ্ট আবহাওয়ার উপরও পোকারা নির্ভরশীল। তাই আবহাওয়ার বিরূপ আচরণের ফলেও পোকা-মাকড় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৮
এনএইচটি/এএ