এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে ফুল, ফুলের রস, ফল, লতাপাতা, বীজ প্রভৃতি। নীরব গাছের ডালে অন্য পাখিদের সঙ্গে রাত কাটায়।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বলেন, ‘সবুজ টিয়া’ কলাপাতা ও সবুজ রঙের দীর্ঘ সুদর্শন পাখি। আকারে অনেকটা কাকের সমান। এর আরেকটি নাম ‘টিয়া-তোতা’। এগুলো সারাদেশেই আছে, সহজে দেখা মেলে।
এর আকার-আকৃতি সম্পর্কে তিনি বলেন, সবুজ টিয়ার দৈর্ঘ্য ৪২ সেন্টিমিটার, লেজ ২৭ সেন্টিমিটার ও ওজন ১৩০ গ্রাম।
এদের দেহ সবুজ। দীর্ঘ, সরু সবুজ রঙে নীল আভা। পুরুষের থুঁতনিতে কালো রেখা ও গলায় ঘাড়ে গোলাপি বলয়। চোখের রং হলদে সাদা। জানুয়ারি থেকে জুলাই এদের প্রজনন মৌসুম। তখন এরা গাছের কোটোরে কাঠঠোকরাদের পুরনো বাসায় বা পুরনো দালানের ফাটলে বাসা করে ডিম দেয়। তবে এদের আবাসস্থল বিনষ্ট হওয়ার কারণে অবস্থা কিছুটা বিপন্ন। যোগ করেন ইনাম আল হক।
সৌখিন বন্যপ্রাণী-বিষয়ক আলোকচিত্রী আদনান আজাদ আসিফ বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৭ সালের এপ্রিলে এ ছবি দু’টি ঢাকার উত্তরা থেকে তোলা। তখন তাদের ব্রিডিং সিজন (প্রজনন মৌসুম) চলছিলো।
স্ত্রী টিয়েগুলো যখন বাসায় ডিমে তা দিতে ব্যস্ত, তখন পুরুষগুলো দলে দলে গমক্ষেতে নেমে শূন্যে থেকে ধারালো ঠোঁট দিয়ে গমের শীষ কেটে নিয়ে যায়।
গাছ থেকে ছিঁড়ে ক্যাক্টাস গাছে বসে খাচ্ছিলো বলেও জানান আদনান আজাদ আসিফ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০১৮
বিবিবি/এএটি/এএ