ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বুনো বিড়ালের ডেরায়

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৮
বুনো বিড়ালের ডেরায় ক্যামেরা তাক করতেই অবাক চোখে তাকিয়েছে বন বিড়াল। ছবি: তানিয়া খান

মৌলভীবাজার: গাছগাছালিপূর্ণ একটি জায়গায় গভীর নীরবতা। চারপাশ থেকে অদেখা পাখির ডাক আসছে ভেসে। কোনটা মৃদু, আবার কোনটা উচ্চস্বরের কাছাকাছি। এমন প্রেক্ষাপটে একটি বুনো বিড়ালের আগমন প্রকৃতিকে আরো মনোমুগ্ধকর করে তোলে।

বনভ্রমণের কোনো এক বিরল মুহূর্তে পা চলতে চলতে একসময় বন বিড়ালের ডেরায় চলে আসাতে তখনই বন বিড়ালের দেখা মেলে। বাংলাদেশের সব বনাঞ্চলেই এরা বসবাস করে থাকে।

ডিসেম্বর থেকে মার্চ বনবিড়ালদের প্রজনন মৌসুম।
 
বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী তানিয়া খান বাংলানিউজকে বলেন, বন বিড়ালের ইংরেজ নাম Jungle Cat। সাধারণ বিড়ালদের থেকে এরা আকারে কিছুটা বড়। এরা নিশাচর। তবে দিনের বেলাতেও শিকারের সন্ধানে ঘুরে বেড়ায়। রাতের আধারে শিকার ধরতে অপেক্ষাকৃত সহজ বলে রাতকেই বেছে নেয়।
 
তিনি আরো বলেন, এদের দেহ ধূসর-সবুজাভ-বাদামি আবরণে ঢাকা। কানের পেছনের দিক কিছুটা লালচে। লেজ অপেক্ষাকৃত খাটো। সাধারণত এদের বনজঙ্গলের প্রান্তে এবং গ্রামের নির্জন স্থানে এদের বেশি দেখা যায়।  
ক্যামেরা তাক করতেই অবাক চোখে তাকিয়েছে বন বিড়াল/ছবি: তানিয়া খানএদের খাদ্যতালিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে বন-মোরগ, ছোট পাখি, গৃহপালিত হাঁস-মুরগি প্রভৃতি স্তন্যপায়ী প্রাণি। বনে অনেক সময় খাবার না পেলে বনসংলগ্ন জনবসতিতে শিকারের সন্ধানে যায়।
 
প্রকৃতিক বন ও পরিবেশ বিপন্ন হওয়ার কারণে এদের অবস্থা কিছুটা সংকটাপন্ন।  

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৮
বিবিবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।