ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

শ্রীমঙ্গলে পাহাড় কেটে পরিবেশ বিপর্যয় চলছেই

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৮
শ্রীমঙ্গলে পাহাড় কেটে পরিবেশ বিপর্যয় চলছেই শ্রীমঙ্গলের ডলুছড়া এলাকায় পাহাড় কাটার দৃশ্য/ ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: সরকারি জায়গায় প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করে পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গলে চলছে পাহাড় কাটা। একটি সংঘবদ্ধচক্র প্রাকৃতিক বন ও পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে চলেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের ডলুছড়া এলাকার লেচুবাড়ির বিপরীত পাশে অবস্থিত পাহাড়ে গিয়ে দেখা যায়, সুউচ্চ একটি পাহাড় কেটে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। বিলাশাকৃতির পাহাড়কে কেটে কেটে বিনষ্ট করা ফেলা হয়েছে।

এর ফলে বিপন্ন হয়ে গেছে প্রাকৃতিক নিরাপত্তা। অতি বৃষ্টিতে এ পাহাড়টির পার্শ্ববর্তী অংশগুলোও ধসে পড়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় কেয়ারটেকার মসলু মিয়া বলেন, এই লেবু-আনারস চাষাবাদের জাগয়াটি লন্ডন প্রবাসী খাদেমুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কিনেছেন। এখানে প্রায় দুই মাস ধরে কোদাল দিয়ে পাহাড়ের মাটির কেটে কেটে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। মাটি ভরাটে ঠিকাদারের দায়িত্বে রয়েছে জামাল।
 
এলাকার এইচএসসি পরীক্ষার্থী শাকিল আহমেদ বলেন, আমরা শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতিসাধনের দৃশ্যগুলো দেখতে চাই না। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে নানা বয়েসের পর্যটকরা শ্রীমঙ্গলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসেন। পাহাড়, টিলা কেটে, গাছপালা উজার করে শ্রীমঙ্গলের প্রকৃতিকে এভাবে ধ্বংস করা হয়ে শ্রীমঙ্গলের সৌন্দর্য আর থাকবে না।

পরিবেশবাদী সংগঠন পাহাড় রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, শ্রীমঙ্গলে যেভাবে পাহাড় টিলা এবং গাছপালা কেটে পরিবেশ ধ্বংস করা হচ্ছে তাতে করে শ্রীমঙ্গল তার আপন সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলছে।
 
পাহাড় কাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে জায়গাতে এই পাহাড়টি কাটা হয়েছে এটি ডিসি খতিয়ানভুক্ত সরকারি জায়গা। দীর্ঘদিন ভোগদখলের সূত্রে এই ডলুছড়া এবং মহাজিরাবাদ মৌজার কিছু ভোগদখলকারী মানুষ আইনের ফাঁকফোকরে সরকারি জায়গাতে ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে নিজের জায়গা বলে দাবি করে চলেছে। আসলে এগুলো সবই অবৈধ।
 
শ্রীমঙ্গল উপজেলার অবৈধভাবে দখলকৃত সরকারি জমিগুলো পুনরুদ্ধারের দাবি উত্থাপন করেন পরিবেশবাদী মো. সালাইউদ্দিন আহমেদ।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোবাশশেরুল ইসলাম বলেন, আমি এলাকাটি পরিদর্শন করে এসেছি। পাহাড় কাটার কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
বিবিবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।