খোলা আকাশে উড়তে উড়তে একসময় ডানাগুলো ক্লান্ত হয়। ক্লান্ত ডানাকে একটুখানি স্বস্তি দিতে প্রথম পাখিটি যেখানে বসে, দ্বিতীয়টিও সেখানে আসে।
সে বিবেচনায় সবুজ সুইচোরারা দলগত পাখি। তারা একত্রে বাস করে। কখনও জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। ‘ট্রি-ট্রি-ট্রি’ স্বরে ঘন ঘন ডাকে।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রখ্যাত পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বাংলানিউজকে বলেন, দিনের শুরুতে সকালের দিকে ওদের একত্রে বসে থাকতে দেখা যায়। শীত মৌসুমে একে অন্যের শরীরের উত্তাপ গায়ে লাগায়। এছাড়া উড়ে উড়ে ছুটে চলার পর কিছুটা ক্লান্তি এলে সবাই এসে কিছুক্ষণ একত্রে জুড়িয়ে নেয়।
পাখিটি সম্পর্কে ইনাম আল হক আরও বলেন, এই পাখিদের নাম সবুজ-সুইচোরা। ইংরেজি নাম Asian Green Bee-eater। এরা আকারে শালিকের ছেয়ে ছোট। দৈর্ঘ্যে এরা ১৬ থেকে ১৮ সেন্টিমিটার হয়।
এদের দেহ সবুজ। চোখের উপরে কালো লাইন রয়েছে। মাথার চাঁদি, ঘাড় ও কাঁধ সোনালি। বাকি দেহ সবুজ। তবে গায়ে নীলচে আভা রয়েছে। এদের লেজের মাঝখানের পালক সুঁইয়ের মতো সরু ও লম্বা। প্রজননের পর জুন-জুলাই মাসে ওরা ছানাসহ বসে থাকে
বলে জানান তিনি।
এই প্রজাতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের দেশে সবুজ-সুইচোরা ছাড়াও আরও তিন প্রজাতির সুইচোরা পাখি পাওয়া যায়। এগুলো হলো নীলদাড়ি-সুইচোরা (Blue-bearded Bee-eater), খয়রামাথা সুইচোরা (Chestnut-headed Bee-eater) এবং নীল-লেজ সুইচোরা (Blue-tailed Bee-eater)।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
বিবিবি/আরআর