বসন্তের শুরুতেই বাসন্তী রঙে তারুণ্য ছড়িয়েছে গাঁদা ফুলেরা। ওরা সারিবদ্ধভাবে একে অপরের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে বাসন্তী রঙে নিজেদের রাঙিয়েছে।
গাঁদা যদিও শীতের ফুল। শীতের হিমকাতরতার মধ্যেই ওদের জন্ম। কুয়াশার শুভ্র আবরণ ভেদ করে ফুলগুলো মাথা উঁচিয়ে জানান দিয়েছে তাদের সৌন্দর্যের উপস্থিতি। কিন্তু বসন্তেও তার মিলনমেলা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে প্রকৃতির পরতে পরতে। ভ্রমর-মৌমাছি আর প্রজাপতিরা ছুটে আসছে তার বাসন্তী গালে পরশ বুলাতে।
গাঁদা ফুলের ইংরেজি শব্দ ‘মেরিগোল্ড’। এর বৈজ্ঞানিক নাম Tagetes erectra, এটি Compositae পরিবারের উদ্ভিদ। জাতভেদে ফুলের রঙ, আকৃতি ও গন্ধ ভিন্ন হয়। আমাদের দেশে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে এখন এ ফুল চাষ লাভজনক একটি খাতে পরিণত হয়েছে।
সম্প্রতি ভাড়াউড়া চা বাগানের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) এর বাংলোতে একগাদা ফরাসি গাঁদা ফুলকে হাসতে দেখা গেলো। তাদের সুগন্ধে ভরে উঠেছে চারপাশ। ফুলের দোকানে গেলে গাঁদাদের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। কিন্তু তার গন্ধ কোথায়! গন্ধ পাওয়া যায় না মোটেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকরী কৃষি কর্মকর্তা অজিত কুমার দেব বলেন, গাঁদা এমন এক ফুল যার জন্য বিশেষ কোনো যত্ন না করলেও চলে। এটি শীতের ফুল হলেও গ্রীষ্ম এবং বর্ষাকালেও চাষ করা হয়। সারাবছর এই ফুল তিনবার উৎপাদন করা যায়।
প্রকারভেদ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের দেশে চাইনিজ, রাজ, আফ্রিকান ও ফরাসি জাতের গাঁদা বেশি চাষ হয়। রঙভেদে গাঁদার জাত হচ্ছে- হলুদ, লাল, কমলা, গাঢ় খয়েরি, লাল হলুদের মিশ্রণ ইত্যাদি।
গাঁদা ফুলের পাতার রস ক্ষত এবং আঘাতে খুব কার্যকর। এটি ছত্রাকনাশক হিসেবে ভালো কাজ করে বলে জানান কৃষিবিদ অজিত কুমার দেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
বিবিবি/আরআর