বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক নাগরিক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। সুন্দরবন দিবস-২০১৮ উপলক্ষে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও তার ৫৭ সদস্য সংগঠন এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আমরা দেখছি সুন্দরবনের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার করা হচ্ছে। ৩২০ টি কলকারখানা নির্মাণ করার পরিকল্পনা হচ্ছে। এতে সুন্দরবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যারা সুন্দরবনের ক্ষতি করছে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে সুন্দরবন যদি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, সংস্কৃতি ধ্বংস হয়ে যাবে ৷ আমাদের পরিবেশবাদীদের বলা হয় আমরা নাকি উন্নয়ন বিরোধী৷ আমরা মোটেই উন্নয়ন বিরোধী নয়৷ আমরা পরিবেশের উন্নয়নের সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নয়ন চাই ৷ সুতরাং সরকারকে আমরা জানাতে চাই৷ সুন্দরবনের ক্ষতি করে, কোনো ধরনের প্রকল্প স্থাপন করা চলবে না। জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ রহমত উল্লাহ বলেন, ‘বিদ্যুৎ আমাদের দরকার ৷ কিন্তু, সুন্দরবনের পাশে কেন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা লাগবে? বনের পাশে যদি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়, তাহলে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে ৷ যারা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছে। সেই ভারতেই মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লাভিত্তিক সব বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দিচ্ছে৷ শুধু ভারত নয়, জার্মান, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, চীনসহ সব রাষ্ট্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের পরিকল্পনা করছে।
বাংলাদেশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করার মানে হলো আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দেওয়া ৷
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ঢাবির উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবদুল আজিজ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, অ্যাডভোকেট জিয়াউর রহমানসহ প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে সুন্দরবন রক্ষায় প্রেসক্লাব অভিমুখে একটি র্যালি বের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/