ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় সুন্দরবনকে সংরক্ষণের তাগিদ মন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
জনগোষ্ঠীকে রক্ষায় সুন্দরবনকে সংরক্ষণের তাগিদ মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী

খুলনা: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে রয়েছে সুন্দরবন। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সুন্দরবনের ভূমিকা বলার অপেক্ষা রাখে না। সুন্দরবনকে সংরক্ষণ না করলে এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করা যাবে না।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে সুন্দরবন দিবস-২০১৮ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

তিনি বলেন, সুন্দরবন শুধু বাংলাদেশের জাতীয় ঐতিহ্য নয়, দেশ ও জীবন বাঁচানোর জন্য অপরিহার্য।

প্রকৃতি যেমন মানুষকে ভালোবাসে, তেমনি মানুষেরও প্রকৃতিকে ভালোবাসতে হবে। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ বাস্তুহারা।

তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে দ্রুত নগরায়নে বসতি সম্প্রসারণের ফলে খালি জায়গা ভরাট হয়ে যাচ্ছে। তাই সুন্দরবনের সংরক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সরকার সুন্দরবন রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ২০০১ সাল থেকে সুন্দরবন দিবস পালন করা হচ্ছে। ২০১৭ সাল থেকে সুন্দরবনকে অভয়ারণ্য এলাকা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। বাঘ গণনায় বিশ্বের সর্বাধুনিক পদ্ধতি ক্যামেরা ট্রাপিং বা ক্যামেরা ফাঁদের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা নির্ণয়ের কাজ শুরু হয়েছে।

মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জীববৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে সুন্দরবনকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট আমাজানের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, সুন্দরবনের মূল আকর্ষণ ট্যুরিজম। গত একবছরে অভ্যন্তরীণ পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটির মতো। সুন্দরবনে বর্তমান ট্যুরিজমের পাশাপাশি ইকো-ট্যুরিজমেরও ব্যবস্থা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা প্রশাসক মো. আমিন-উল আহসান এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ।

এতে সভাপতিত্ব করেন বন অধিদপ্তর খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী। স্বাগত বক্তৃতা করেন সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বেগম ফেরদৌসী আলী, সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বন কর্মকর্তা মো. বশির উল আলম মামুন, ওয়াইল্ডটিমের প্রতিনিধি মাহাবুবুর রহমান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রূপান্তরের প্রধান নির্বাহী স্বপন গুহ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাংশু।

খুলনা জেলা প্রশাসন, বন অধিদপ্তর, ইউএসএইড বাঘ, অ্যাকটিভিটি, ওয়াইল্ডটিম, রুপান্তর, খুলনা প্রেসক্লাব ও সুন্দরবন একাডেমি যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

পরে মন্ত্রী খুলনা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে খুলনা বিভাগীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগদান করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।