কেনিয়ার ওল পেজেতা কনজার্ভেন্সির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, সোমবার (১৯ মার্চ) বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ‘সুদান’ নামে ৪৫ বছর বয়সী গণ্ডারটি মারা যায়। মৃত্যুর আগে সে হাড় ও পেশীয় ক্ষয়রোগ এবং ত্বকের ক্ষতরোগে ভুগছিল।
এখন পৃথিবীতে কেবল বেঁচে আছে এ প্রজাতির দু’টি নারী গণ্ডার। এদের নাম নাজিন (২৭) ও ফাতু (১৭)। প্রাণী সংরক্ষণকর্মীদের বিশেষ তত্ত্বাবধানে রয়েছে তারা।
পুরোপুরি বিলুপ্ত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত হওয়া এ গণ্ডার প্রজাতিটিকে টিকিয়ে রাখতে এতোদিন অনেক রকম প্রচেষ্টা চালানো হয়। প্রাকৃতিক উপায়ে এদের বংশবৃদ্ধির চেষ্টা চালান সংরক্ষণকর্মীরা। এ কাজে অর্থ সংগ্রহের জন্য সুদানের নামে ডেটিং সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে প্রচারণাও চালানো হয়।
তবে ‘সুদানের’ মৃত্যুর ফলে প্রাকৃতিক উপায়ে প্রজাতিটিকে টিকিয়ে রাখার রাস্তা আপাতত বন্ধ। এবার কৃত্রিম উপায়ে তা করার চিন্তা-ভাবনা করছেন সংরক্ষণকর্মীরা।
প্রাণী সংরক্ষণ সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সুদানের জেনেটিক উপাদান সংগ্রহ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে তা দিয়ে ‘অ্যাডভান্স সেলুলার’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাকি নারী গণ্ডার দু’টির মধ্যে কৃত্রিম প্রজনন ঘটানোর চেষ্টা চালানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
এনএইচটি/এএ