প্রজাপতি গবেষক অমিত কুমার নিয়োগী বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ প্রজাপতির প্রচলিত বাংলা নাম ‘ফটিক সিন্ধু’। এর ইংরেজি নাম কমন ব্লুবোতল।
‘বাংলাদেশে Graphium গণের অন্তর্ভুক্ত আরও সাত ধরনের প্রজাপতি পাওয়া যায়। এগুলো- Graphium agamemn, Graphium eurypylus, Graphium doson, Graphium nomius, Graphium antipathies, Graphium megarus ও Graphium xenocles। এই প্রজাপতিটিগুলোর পুরুষ ও মেয়ে উভয়েরই ডানার নিচের রঙ একই ধরনের। ’
রঙের বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, কমন ব্লুবোতলে একটি ম্যাকুলার ব্যান্ড রয়েছে যা উভয় পাখনার উপরে এবং নিচে উভয় দিকে দৃশ্যমান পশ্চাৎ পাখনার ভেতরের মার্জিন ও সম্মুখ পাখনার উপরের অংশ দাঁড়িয়ে যায়। এ ব্যান্ড নীল-সবুজ থেকে গভীর নীলের বিভিন্ন রঙ দিয়ে ফ্যাকাশে সবুজ আভা রয়েছে, যা পরিবর্তিত হয়। পশ্চাৎ পাখনার উপরে অংশে নীল রঙের দাগ এবং পশ্চাৎ পাখনার নিচে অর্থাৎ ব্যাসাল ও উপরের অংশে লাল ঘূর্ণায়মান দাগ রয়েছে।
এই প্রজাপতির প্রাপ্তিস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ফটিক সিন্ধু’ ঢাকাতে মাঝে মাঝে দেখা যায়। আমাদের দেশের সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলেও দেখা যায়। তবে বিরল এই প্রজাপতিটি খুব সকালের পড়ন্ত রোদে হাল্কা আদ্র বা ভেজা ছড়ার (দুই পাহাড়ের মাঝে পানির প্রবাহের পথ) বালুতে, ভেজা কাগজ বা টিস্যু, প্রাণীর মল, পচা বস্তু থেকে খনিজপদার্থ আহরণ করে। এরা সাধারণত পাতার উপরে বসে ও বিশ্রাম নেয়।
জীববৈচিত্র্য গবেষণা ও সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার ‘আইইউসিএন’ ‘লাল-তালিকা ২০১৫’-তে এ প্রজাতিগুলোকে বাংলাদেশে অরক্ষিত (VU) বলে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান প্রজাপতি-গবেষক অমিত কুমার নিয়োগী।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
বিবিবি/এএটি