শুক্রবার (৮ জুন) ‘আন্তর্জাতিক মহাসাগর দিবস’উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৭ জুন) ঢাকার শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) চতুর্থ মেরিন কনজারভেশনো ও ব্লু ইকোনমি সিম্পোজিয়ামে বক্তারা এ আহ্বান জানান।
বক্তারা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাণবৈচিত্র্য, কৃষি, মৎস্য, বন, পানিসম্পদ খাতের সুরক্ষায় প্রয়োগযোগ্য গবেষণা দরকার।
বাৎসরিক সিম্পোজিয়ামে এবার মূল বিষয় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমস্ফরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সি গ্রান্ট প্রোগ্রামের সঙ্গে বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও সামুদ্রিক প্রতিবেশবিষয়ক বেসরকারি সংস্থাগুলোর সহযোগিতা চালুর সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা।
যুক্তরাষ্টের ইউনিভার্সিটি অব জর্জিয়ায় সি গ্রান্ট প্রোগ্রামের ভিজিটিং ফেলো মো. কুতুব উদ্দিন, শেকৃবির ফিশারিজ ও অ্যাকুয়াকালচার ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ড. কাজী আহসান হাবীব, এবং জর্জিয়া সি গ্রান্টের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ড. মোনা বেল এ বিষয়ে ভিডিও কনফারেন্সযোগে বক্তৃতা করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ এম শাহাবউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মৎস্য অধিদফতর, বন বিভাগসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা, বেসরকারি সংস্থার নেতারা ও দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে উপকূলীবাসীর ও প্রাণবৈচিত্রের জন্য যেসব বহুমাত্রিক হুমকি তৈরি হয়েছে তা কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এককভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। উপকূলীয় এলাকার প্রতিবেশগত বাস্তব সমস্যার সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সমাজের বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ড. মো. আখতার হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সি গ্রান্ট প্রোগ্রামটি বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক প্রতিবেশ সুরক্ষা প্রকল্প সম্প্রসারণের একটি কার্যকর উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের জন্য।
সি গ্রান্টের সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতার লক্ষ্যে দেশের বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এ উদ্যোগে যুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৮
এএটি