রোববার (১০ জুন) বিকেলে অজগরটি টেকনাফের মোচনী ন্যাচারপার্কে অবমুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে শনিবার রাতে প্রায় ১২ ফুট (৩ দশমিক ৬ মিটার) লম্বা অজগরটি ধরা পড়ে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বড় কুতুপালং-বালুখানি ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা লোকালয়ে আসা অজগরটি আটক করে। খবর পেয়ে অজগরটি উদ্ধারে সহায়তা করে এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি)। এরপর ইআরটি ইউএনএইচসিআর’র সহযোগী সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দি কনজারভেশন অব ন্যাচারকে (আইইউসিএন) খবর দিলে ইআরটির স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় অজগরটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পরে বন বিভাগের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
টেকনাফ রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ১০ মিটার পর্যন্ত বড় হতে সক্ষম (Reticulated python) এ প্রজাতির অজগরই বিশ্বের সবচেয়ে বড় আকৃতির সাপ, যেটা পরিবেশগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রজাতি। কিন্তু পাহাড়ের পর পাহাড় ধবংসের ফলে উখিয়া-টেকনাফের পাহাড়ি এলাকায় থাকা এসব বন্যপ্রাণী নিজের বাসস্থান হারাচ্ছে। খাবারের খোঁজে সাপটি হয়তো লোকালয়ে এসেছিল। সাপটার গায়ে একদম শক্তি নেই। মনে হয় খাবার পায়নি অনেক দিন। তাই শুকিয়ে গেছে অনেকটা। দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ফুটের সাপ হিসেবে এর ওজন ৩০ কেজি পার হবার কথা থাকলেও এটির ওজন হবে ১৮-২০ কেজি। সাপটি বন বিভাগের আওতায় আসার পর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আলী কবীরের নির্দেশনা অনুযায়ী মোচনী ন্যাচার পার্কে অবমুক্ত করা হয়।
কক্সবাজার বনবিভাগের কর্মকর্তা (দক্ষিণ ) আলী কবির বাবলু বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় দিতে গিয়ে অমানবিক ভাবে অনেক গভীর বনও উজাড় হয়ে গেছে। ফলে আবাসস্থল হারিয়ে হাতিরপাল প্রায় সময় লোকালয়ে হানা দেয়। এখন বৃষ্টি শুরু হওয়ায় হাতির পালের দৌরাত্ম আবার বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই পরিবেশের স্বার্থে বন্য প্রাণীদের নিরাপদ আবাস গড়তে সবাইকে আরো সচেতন হওয়া দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৮ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৮
টিটি/এসএইচ