তার সঙ্গে আগে পাখি-কুকুরও পোষ মানানো হতো। আর এখন পোষ মানাতে হয় না।
তৈরির বিষয়টা একারণেই আসছে যে, প্রজনন এমনভাবে করা হচ্ছে, প্রাণীগুলো প্রকৃতিতে বাঁচবে না। যারা কেবল খাঁচার ভেতরেই বাঁচে। নিজে যেমন খাবার খুঁজে নিতে পারে না এরা, তেমনি পারে না অন্য প্রাণীদের সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতেও। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম। এদের তৈরি করা হচ্ছে জন্মগতভাবেই ‘পোষা’ হিসেবে। কেবল সৌন্দর্য বাড়ানো এবং মুনিবের মনের খোরাক মেটানো ছাড়া এদের কোনো কাজ নেই।
কুকুর কিংবা খরগোশ বা অন্য কোনো প্রাণী এখনও সবার কাছে তেমন আগ্রহের নয়। তবে পাখির চাহিদা ব্যাপক। পোষা পাখির কদর বাড়ছেই দিন দিন। দেশের সবচেয়ে বড় পোষা পাখির বাজার রাজধানীর কাঁটাবন। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, হরেক রকমের পাখি। একই গোত্রেরই ছোট বড় আর নানা রঙের।
দেশি ঘুঘু, বিদেশি ঘুঘু, কবুতর, বাজরিগার, কাকাতুয়া, লাভ বার্ডসহ নানা রকমের পাখি। তবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা বাজরিগার, কাকাতুয়া আর লাভ বার্ডের। আর টিয়া, ময়নার কদর তো আগে থেকেই। তবে কথা বলা ময়না, টিয়ার দাম বেশি বলে বিক্রি কম।
রেড সি এন্টারপ্রাইজের বিক্রেতা রুহুম আমিন বাংলানিউজকে বলেন, বাজরিগারের জোড়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। কাকাতুয়া আড়াই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় আর লাভ বার্ড বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায়।
তিনি বলেন, ঈদে তেমন বিক্রি নেই। তবে চাহিদা আগের চেয়ে বেড়েছে।
আনিলা হক লাভ বার্ড পোষে আসছেন তিন মাস ধরে। খাবার কিনতে এসেছিলেন কাঁটাবনে। এসময় তিনি বাংলানিজকে বলেন, পাখি দেখতে সুন্দর। সকালে পাখির ডাক শুনতে ভালো লাগে। আর ঝামেলাও কম। তাই পোষা পাখির প্রতি এতো টান। আর এগুলো উড়ে তেমন দূরেও যেতে পারে না।
নিলয় বার্ডস কর্নারের দোকানি আবুল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এরা বনের পাখির মতো তাগড়া না। কেবল সুন্দর দেখায়। গাছের পাখির মতোও না। মানুষ খুব কেনে এগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
ইইউডি/টিএ