বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি আকিজ ওয়াইল্ডলাইফ ফার্মে রয়েছে প্রায় ১৫০০ কুমির। এ মৌসুমে কুমিরের সংখ্যা পৌঁছে যাবে প্রায় দু’হাজারে।
আকিজ ওয়াইল্ডলাইফ ফার্ম লি. এর প্রধান নির্বাহী এবং বন্যপ্রাণী গবেষক আদনান আজাদ আসিফ বাংলানিউজকে বলেন, সেদিন সবেমাত্র ডিম থেকে ফুটেই আমার আঙুলে কামড় বসিয়ে রক্তাক্ত করে দিলো একটি কুমিরছানা। আমাদের এখানে ইনকিউবেটরের মাধ্যমে কুমিরছানাদের কৃত্রিম প্রজননে সাহায্য করা হয়। এই মৌসুমে আমাদের এখানে প্রায় ২৫০ কুমির ছানা জন্মেছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এ কুমিরগুলোর বাংলা নাম ‘নোনা পানির কুমির’ এবং ইংরেজি নাম Salt Water Crocodile। নোনা পানির কুমির মানেই যে এরা শুধু নোনা পানিতে থাকে তা নয়। এগুলোর আমাদের দেশীয় প্রজাতির কুমির। সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে পর্যন্ত এই কুমিরের বৈশ্বিক অবস্থান রয়েছে। সরকারি লাইসেন্স পাওয়ার পর আমরা প্রকৃতিতে থেকে কুমির না ধরে প্রথম মালয়েশিয়া থেকে কুমির কিনে নিয়ে আসি। আজ থেকে দশ বছর আগে ৫০টা কুমির কিনে আনা হয়।
আদনান জানান, কুমির এমন একটা প্রাণী যারা কারো সঙ্গেই কোনো কম্প্রোমাইজ করে না। কুমিরের সহজাত প্রবৃত্তি হচ্ছে, এরা খুব কলহপ্রবণ প্রাণী। আমরা ছেলে ও মেয়ে কুমিরকে একসঙ্গে রেখে দেখেছি, বেশিরভাগ সময়ই ওরা কোহল-বিবাদে লিপ্ত। কেবল মে মাসের কোনো একটি দিনে তারা মিলিত হয়। এদিন তাদের মধ্যে একটু ভালোবাসা জন্মে। এরপর পুরুষটা মেয়েটাকে তাড়িয়ে দেয়। এরা কারও সঙ্গেই বন্ধুত্ব করেনা।
জানা যায়, একটি পূর্ণবয়স্ক কুমিরের কামড়ের ওজন ১০ টন বা ১০ হাজার কেজি। অন্যপ্রাণীরা বছরখানেক বা তারও কিছু সময় পর্যন্ত মায়ের আশেপাশে থেকে খাবার শিকার করা শিখে থাকে। কুমির এমনই হিংস্র যে, তাকে মায়ের কাছ থেকে শিকার করা শিখতে হয়না। এরা হলো ‘বাই বর্ন কিলার’।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৮
বিবিবি/এনএইচটি