ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

শিগগিরই শুরু হচ্ছে লাউয়াছড়া সড়ক সংস্কার

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
শিগগিরই শুরু হচ্ছে লাউয়াছড়া সড়ক সংস্কার খানাখন্দে ভরা এখন লাউয়াছড়ার সড়ক

মৌলভীবাজার: খানাখন্দে ভরে গেছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সড়ক। পাকা রাস্তা ধরে এগোলেই দেখা যায় বড় বড় গর্ত। আর তার মধ্যে সহজেই চোখে পড়ে পানি জমে থাকার দৃশ্য। মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিক্সা থেকে শুরু করে ভারী যানবাহন এই পথে গেলেই ঝাঁকুনিতে দোলে উঠতে হয় যাত্রীদের।

মৌলভীবাজারে সাম্প্রতিক বন্যায় জেলার বিভিন্ন সড়কে ভাঙন এবং লাউয়াছড়ায় ক্রমাগত বর্ষণের কারণে সড়কের এই দুর্গতি। যার ফলশ্রুতিতে এবার ঈদে পর্যটকের ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে।


 
তবে আশার কথা শোনাচ্ছে মৌলভীবাজার জেলার সড়ক ও জনপদ বিভাগ। তারা শিগগিরই সড়কের দুর্ভোগ লাঘবের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।   
 
লাউয়াছড়া ইকো-কটেজের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘লাউয়াছড়ায় এবার ঈদে আগত পর্যটকের সংখ্যা অন্যান্যবারের তুলনায় কম। এর মূল সমস্যা লাউয়াছড়ার সড়কের বেহাল দশা। কর্তৃপক্ষের সুনজর নেই এখানে। ঢাকার একদল পর্যটক আমার কটেজে অগ্রিম এক হাজার টাকা জমা দিয়েও লাউয়াছড়ার রাস্তার কারণে শ্রীমঙ্গল ভ্রমণ বাতিল করে দিয়েছেন। ’
 
শ্রীমঙ্গল স্মার্ট ট্যুরিজমের পরিচালক এম এ রকিব বললেন, ‘এবার ঈদে শ্রীমঙ্গলে তেমন একটা পর্যটকের সমাগম ঘটেনি। ঈদকে কেন্দ্র করে পর্যটকদের সেবা দেওয়ার জন্য প্রত্যেকটি হোটেলই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। এসব হোটেলের মাত্র ৪০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। তাও মাত্র শুক্র-শনিবারের জন্য। গত বছর এসময় প্রায় ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছিল। সড়কের বেহাল দশাও শ্রীমঙ্গলে সম্প্রতি পর্যটন কম হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। ’
 
মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপদের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাশেদুর হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের কাজ শিগগিরই শুরু হবে। সমশেরনগর বিমানবন্দর থেকে শ্রীমঙ্গল শহরের চৌমুহনা পর্যন্ত মোট ৪২ কিলোমিটার সড়কের কাজ আমাদের প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে। ’
 
তিনি আর বলেন, ‘তবে ওই ৪২ কিলোমিটারের মধ্যে গত বছর সড়কের কিছু অংশ পুনসংস্কার করে ফেলায় বর্তমানে ২৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়কের কাজ শুরু হবে। মূলত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের সড়কটি কেন্দ্র করেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ’
 
বরাদ্দে মোট অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করে এ  প্রকৌশলী বলেন, ‘উন্নত দীর্ঘস্থায়ী নির্মাণ এবং এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে ৫৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকার প্রকল্পটি ভেঙে আমরা দু’টি প্যাকেজ করেছি। প্রথম প্যাকেজটি হলো সমশেরনগর থেকে শ্রীমঙ্গল বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত। আর দ্বিতীয় প্যাকেজটি হচ্ছে সমশেরনগর বাজার, ভানুগাছ বাজার এবং শ্রীমঙ্গল জিরোপয়েন্ট বা শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা থেকে শুরু করে শ্রীমঙ্গল রেলস্টেশন হয়ে বিজিবি শ্রীমঙ্গল সেক্টর ক্যাম্প পর্যন্ত। ’
 
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আপাতত আমরা প্রথম প্যাকেজটির কাজ শুরু করতে যাচ্ছি বলে জানান উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রাশেদুর হক।
  
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
বিবিবি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।