আশ্বিনবৃষ্টির ফোটাগুলো বেশ করে গায়ে মাখলো মধুমঞ্জরিরা। দুলে দুলে উঠলো তাদের শরীর।
প্রতিদিন সকালে যে টুনটুনিরা (Common Tailorbird) এসে মধুমঞ্জরিদের গান শুনিয়ে যায়। এ আশ্বিনবৃষ্টিতে দেখা নেই তারও। এ গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি তার প্রতিও নিষেধজ্ঞা করেছে আরোপ যেন। টুনটুনিদের কথা তো বলা হলো, কিন্তু বাদ পড়ে গেল বেগুনিকোমর-মৌটুসিদের (Purple-rumped Sunbird) কথা। সেও টুনটুনি পাখির মতোই মাঝে মাঝে মধুমঞ্জরিদের ভিড়ে এসে মধু খুঁজে বেড়ায়। থোকা থোকা ফুলগুলোর মাঝে সময় কাটিয়ে ডানা মেলে অন্য ফুলের খোঁজে।
এই ‘মধুমঞ্জরি’ ফুলটিকে ‘মধুমালতী’ নামেও ডাকা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ফুলটির নামকরণ করেছেন ‘মধুমঞ্জরি লতা’ হিসেবে। এই ইংরেজি নাম Rangoon Creeper এবং বৈজ্ঞানিক নাম Combretum indicum।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বাংলানিউজকে বলেন, আসলে এই ফুলটির নাম ‘মধুমঞ্জরি’। এটি সুগন্ধি জাতীয় ফুল। তবে এই ফুলটিকে অনেকেই মাধবীলতা হিসেবে ভুলভাবে চেনেন। দুটোর পার্থক্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আসলে এটি মাধবীলতা নয়, মাধবীলতা সম্পূর্ণ অন্য রঙের একটি ফুল। এটি হালকা বাদামি রঙের, আর মধুমঞ্জরি হলো সাদা এবং লাল। প্রথমে সাদা, তারপর গোলাপি, পরে গাঢ় লাল ধারণ করে মধুমঞ্জরি ফুলগুলো।
‘মধুমঞ্জরি’ প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, এটি আসলে গ্রীষ্ম ও বর্ষার ফুল। তবে শরৎকালেও ফুটে থাকতে দেখা যায়। একটি ফুলে পাঁচটি পাপড়ি থাকে। এর রঙ, সুবাস ও সৌন্দর্যের জন্য এটি পুষ্পপ্রেমিদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। এটিকে সারাদেশেই পাওয়া যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইন্দো-মালয়েশিয়ায় এই ফুলটির আদি জন্মস্থান বলে জানান শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
বিবিবি/এএটি