কুয়াশার ঘন আবরণ ভেদ করে দেরি হয়ে যায় সূর্যের জ্যোতি ছড়াতে। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যে কনকনে ঠাণ্ডা গ্রাস করে ফেলবে চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলকে।
বুধবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় শহরতলী সংলগ্ন চা বাগান ভাড়াউড়ার মাটিঘেরা পথে ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে চারপাশ। দুর্গোৎসবের ছুটি চলছে চা বাগানগুলোতে। তাই কাজকর্ম বন্ধ। প্রতিদিনের মতো চা শ্রমিকদের সকাল ৮টা-৯টার মধ্যে বেড়িয়ে পড়ার তাগাদা নেই একদমই। চা বাগানের পথগুলো জনশূন্য চারদিক। পাহাড়ি টিলা থেকে নেমে আসা এক চা শ্রমিক জানালেন, আজই নাকি ঠাণ্ডাটা পড়েছে বেশি। কার্তিক মাসের প্রথম দিকে চা বাগানে চা বাগানে শীত পড়তে শুরু করে। তারপর তাদের তীব্র ঠাণ্ডা তাড়াতে আগুন জ্বালাতে হয়।
হঠাৎ নজরে পড়লো, ভেঙে গেছে মাকড়শার বাড়ি! চায়ের এক ডাল থেকে চা গাছের আরেক ডালে তৈরি করে জাল। এই আঠালো জালে ছোট্ট শিকার এসে ধরা পড়লেই আর মুক্তি মেলে না। কিছুক্ষণের মধ্যেই সে মাকড়শার খাবারে পরিণত হয়।
সারারাতের হিম কুয়াশার আবরণে মাকড়শার সেই স্বপ্নের শিকারফাঁদটুকুও ভেঙে গেছে। ছিঁড়েছুড়ে গেছে জালের ভেতরবাহির। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে শ্রীমঙ্গল শহরের তাপমাত্রা। মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) সকালে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগের দিন সোমবার তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানান এ আবহাওয়াবিদ।
বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
বিবিবি/এএটি