কিন্তু কিছু মানুষের চিরচেনা কুৎসিত দৃষ্টি পড়ে সেই মা গন্ধগোকুলসহ বাচ্চাদের ওপর। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তারা মা গন্ধগোকুলকে হত্যা করে।
পরে আহত বাচ্চাটি উদ্ধার করে সীমাবাড়ী ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের মুঞ্জিল সেখ। তিনি সরাসরি বাচ্চাটি নিয়ে যান বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বাধীনজীবন’র নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক নাসিমের কাছে। সেখানে প্রায় ২৮ দিন পরিচর্যার পর বাচ্চাটি সুস্থ হয়ে উঠে এবং অবশেষে এটিকে অবমুক্ত করেন তিনি।
বুধবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা এই গন্ধগোকুলকে এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে সামীবাড়ী বাজার এলাকায় অবমুক্ত করা হয়। খাঁচায়বন্দি থেকে মুক্ত হওয়া মাত্রই গন্ধগোকুলটি দৌঁড়ে পাশের ঝোপঝাড়ে চলে যায়।
এসময় স্বাধীনজীবনের নির্বাহী পরিচালক ছাড়াও কোষাধ্যক্ষ টিটু সরকার, সদস্য বুলবুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, সীমাবাড়ী ইউনিয়ন শিক্ষক কল্যাণ সমিতি সভাপতি আলমগীর কাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীনজীবনের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক নাসিম বাংলানিউজকে বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে সীমাবাড়ী বাজার এলাকায় মা গন্ধগোকুলসহ চারটি বাচ্চার দেখা মেলে। কতিপয় ব্যক্তিরা মা গন্ধগোকুলকে পিটিয়ে হত্যা করে। তিনটি বাচ্চা পালিয়ে যায়। একটি বাচ্চাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে আহত ওই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর গ্রামে আমার বাড়িতে রাখা হয়।
তিনি বলেন, বাচ্চাটিকে নিয়মিত মুরগির মাংসসহ নানা পুস্টিকর খাবার খাইয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ করে তোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
এমবিএইচ/টিএ