ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

দুষ্প্রাপ্য শ্বেতচন্দন ফুল  

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৮
দুষ্প্রাপ্য শ্বেতচন্দন ফুল   শ্বেতচন্দন ফুল। ছবি: ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন

মৌলভীবাজার: যার গুণাগণ যত বেশি তার মূল্যায়নও তত বেশি। প্রকৃতির রাজ্যে একটি মহামূল্যবান বৃক্ষের নাম চন্দন। সেই চন্দনের একটি প্রজাতি হলো ‘শ্বেতচন্দন’ বা ‘সাদাচন্দন’। আরেক প্রজাতি হলো ‘রক্তচন্দন’।

বিভিন্ন কাজে এই গাছের কাঠ ব্যবহার্য এবং অধিক মূল্যবান হওয়ায় এর সহজলভ্যতা আমাদের নাগালের বাইরে। তার থেকে আরও দুস্প্রাপ্য শ্বেতচন্দনের ফুল।


 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর এবং উদ্ভিদ গবেষক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, এই শ্বেতচন্দনের ইংরেজি নাম Sandalwood  এবং বৈজ্ঞানিক নাম Santalum album। এটি Santalaceae পরিবারভুক্ত উদ্ভিদ। এর আদিনিবাস ইন্দোনেশিয়ার জাভা এবং তিমুর। পরবর্তীতে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, অস্ট্রেলিয়া প্রভৃতি দেশে চাষ হচ্ছে।
 
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলদা গার্ডেন এবং ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল মোট তিনটি স্থানে এই শ্বেতচন্দনের গাছ দেখেছি আমি। বাংলাদেশের হবিগঞ্জের কোনো এক স্থানে চাষ হয়; এ তথ্যটা আমি একটি আর্টেকেলে পড়েছি। ’
 
চন্দনকাঠ পারফিউমে, কসমেটিক্সে এবং ওষধিতে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ঠাণ্ডাজনিত রোগ, ব্রংকাইটিজ, অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল এক্টিভিটিজ, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে বলে জানান ড. জসীম উদ্দিন।  
 
ধ্বংসের কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে এবং অনিয়ন্ত্রিতভাবে গাছের কাঠ আহরণ করা। কমার্শিয়ালি অত্যন্ত মূল্যবান হওয়ার কারণে গাছটির উপর নজর সবার বেশি। যে গাছ যত বেশি উপকার সেই গাছের দিকে মানুষের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি থাকে। মানুষ এটাকে বেশি সংগ্রহ করে বিক্রি করতে চায় এবং ব্যবহার করতে চায়।
 
এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় কাজেও এই গাছের কাঠ ব্যবহৃত হয় বলে জানান ড. জসীম উদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর, ২০১৮
বিবিবি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।